মিঠুন আর আশরাফুলের দৌলতে ড্র-মান রক্ষা জাতীয় ফুটবল দলের
টিপু সুলতান : মিঠুন আর আশরাফুলের দৌলতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে মান রক্ষা পেয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের। আজ মাঠের খেলায় যশোরের সেই ধারটা কোথায় যেন উধাও ছিল ! যশোরে বাংলাদেশ জাতীয় দল ৪-২ গোলের বড় জয়ে শুরু করেছিল টুর্নামেন্ট। কিন্তু আজ ঢাকায় মালয়েশিয়া একাদশের সঙ্গে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ড্র (১-১) করে মাঠ ছেড়েছে জাতীয় দল। দুই ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার কাজটা অবশ্য অনেকখানি এগিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
দলটির পোশাকি নাম মালয়েশিয়া একাদশ হলেও এটি ক্লাব দল। মালয়েশিয়ান সুপার লিগের ক্লাব ফেলদা ইউনাইটেড টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল। এই দলটির সঙ্গেই কিনা জিততে পারল না জাতীয় দল! বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ, পোস্টে নিখুঁত শুটিং—সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল মালয়েশিয়া। উল্টো ঘরের মাঠের চেনা পরিবেশ, দর্শকদের সামনেও সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি মামুনুল, জাহিদরা।
ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফাউল করে বিপদ ডেকে আনেন অধিনায়ক মামুনুল। মালয়েশিয়ার মিডফিল্ডার আবদুল শুকুর জুসোর ফ্রি কিক অবশ্য ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক আশরাফুল। পরের মিনিটেই মালয়েশিয়ার আরেকটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন আশরাফুল। এবার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বাঁকানো শট নেন মিডফিল্ডার আহমেদ শামীম।
কিন্তু এবারও দারুণ দক্ষতায় ফেরান গোলরক্ষক আশরাফুল। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনি। প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া বল নিয়ে একাই ঢোকেন বক্সে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বল পাঠিয়ে দেন বাইরে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার ডিফেন্ডার ফজলে ইলিয়াসের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে।
ম্যাচে মালয়েশিয়া এগিয়ে গেছে ৫৪ মিনিটে। হাসান জাহিদের ক্রস থেকে মুহাম্মদ হাদিনের ভলিতে ১-০ করে মালয়েশিয়ার ক্লাব ফেলদা ইউনাইটেড। গোল খেয়ে যেন খোঁচা খাওয়া বাঘে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ আসে ৭৬ মিনিটে। জাহিদের পাস থেকে বদলি হিসেবে নামা মিঠুনের প্লেসিং শটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ (১-১)।
গোল করেই জার্সি খুলে পূর্ব দিকের গ্যালারির দিকে ছুটে যান শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে অবশ্য দুই দলের কেউই আর গোলের দেখা পায়নি।বাংলাদেশ জাতীয় দল পরের ম্যাচটি খেলবে ১৫ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ নেপাল।বাংলাদেশ দল: আশরাফুল, ওয়ালী ফয়সাল (রায়হান), নাসিরুল, জামাল, ইয়াসিন, জাহিদ, মামুনুল, হেমন্ত (মিঠুন), নাসির, রনি, জীবন (জুয়েল)।