মা দুর্গা মহাদেব ও শ্রীকৃষ্ণকে কর ফাঁকির নোটিস দিয়ে তোলপাড়
ডেস্ক রিপোর্টার : বিজেপি শাসিত রাজ্যে সম্পত্তি কর দেননি মা দুর্গা, মহাদেব। কর ফাঁকির নোটিস শ্রীকৃষ্ণকেও দেয়া হয়েছে। সিনেমা নয়, বাস্তব। তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ ভারতেই হিন্দু দেবদেবীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ। কর জমা দিতে নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
মা দুর্গাকে নোটিস পাঠিয়ে সম্পত্তি কর বাবদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মেটাতে বলা হয়েছে। নারায়ণ ঠাকুরের বকেয়া সম্পত্তি করের পরিমাণ ২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। সেটাও অবিলম্বে জমা করতে হবে।তথ্য:এবেলা।
গল্প নয়, সত্যি। সিনেমা নয়, বাস্তব। তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ ভারতেই হিন্দু দেবদেবীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ। কর জমা দিতে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। নিশ্চয়ই বলিউডের ‘ওহ মাই গড’ সিনেমার কথা মনে পড়ছে। কিন্তু এ সিনেমার কাহিনি নয়। বাস্তবেই এমন কাণ্ড ঘটেছে হরিয়ানায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভগবানের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
হরিয়ানার ফতেয়াবাদ পুর কর্তৃপক্ষ এই নোটিস পাঠিয়েছে। কোনও ব্যক্তির নামে নয়, মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী মা দুর্গা, ভগবান শিব, কৃষ্ণ-সহ অন্যান্য দেবদেবীদের নোটিস পাঠিয়ে অবলম্বে বকেয়া সম্পত্তি কর জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই করের পরিমাণ কারও ক্ষেত্রে কয়েক হাজার টাকা আবার কারও ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা।
ওই পুর এলাকায় বিভিন্ন মন্দিরের কাছে কতটা জমি ও সম্পত্তি রয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করে কর দিতে বলা হয়েছে। আর সেই কারণেই বিভিন্ন মন্দিরের বিভিন্ন দেবতার নামে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিতর্ক শুরু হয়। ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেন পুর প্রধান।
এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও হস্তক্ষেপ করেছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পুর কর্মীর ভুলের কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পরিবর্তে দেবদেবীদের নাম লেখা হয়েছে। স্থানীয় একটি শ্মশানকে সম্পত্তি কর দেওয়ার জন্যও চিঠি পাঠিয়েছে পুরসভা। তবে সেই চিঠি শ্মশানকালীর নামে গিয়েছে কি না তা জানা যায়নি।