মায়ের কোলে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে আজ শনিবার ‘নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ যেন মায়ের কোলে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের মায়ের নামে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালে দেড় বছর আগেও চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে পৌঁছান বলে জানান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মোমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালট্যান্ট প্রাণ গোপাল দত্ত।
জাতিরকন্ঠ কে তিনি বলেন, রক্ত, আলট্রাসনোগ্রাম, এক্সরের মতো নিয়মিত কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি ভাল আছেন। কোনো অসুস্থতা নেই তার। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশের এই হাসপাতালে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবস্থানের সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হাসপাতালের চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। খালি পেটে রক্ত দিয়ে হাসপাতালেই নাস্তা করেন।
এরপর চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন দুই বোন। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। এর নামকরণ হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।
দেড় বছর আগে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আপনারা আমাকে বিদেশে নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠাবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।
এবার প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে একজন সাধারণ রোগীর মতই টিকেট কেনা থেকে শুরু করে সব আনুষ্ঠানিকতা সারেন বলে জানান হাসপাতালটির কনসালট্যান্ট আরিফুর রহমান নাইম। হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালট্যান্ট প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশি ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিতে চান। বাংলাদেশের ডাক্তারদের প্রতি তার আস্থা আছে।
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে যান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে দেখা যায় নিয়মিত। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।বাংলাদেশে থেকে প্রতিবছর কতো মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এই সংখ্যা মাসে ১৫ হাজারের কম নয় বলে গণমাধ্যমের তথ্য।