মাহির সেই রাতের অভিজ্ঞতা এবং..
সোমালিয়া : ভূত-অশরীরী-প্রেতাত্মা৷ বাড়ির কারও কাছে এই শব্দগুলোর অস্তিত্ব না থাকলেও, মাহির কাছে এই শব্দগুলো একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা৷ যা আজও মনে পড়লে তার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়৷ প্রতিটা রোমকূপ স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে৷১৪ বছরের মাহির কাছে গরমের ছুটি মানেই দিদার কাছে মামার বাড়ি বেড়াতে যাওয়া৷ মামার বাড়ির কাছেই মাসির বাড়ি৷ মাসিরা কোথাও বেড়াতে গেলেই মাহিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যান৷ সেদিন একটু বেশিই রাত হয়ে গিয়েছিল৷ মাসির কথায় তাঁদের বাড়িতেই থেকে গেল মাহি৷
ঘুমিয়েই পড়েছিল৷ হঠাৎ এগারোটা নাগাদ ঘুমের মধ্যেই মাহির মনে হল জানলা পাশ থেকে যেন কোনও ছায়মূর্তি তার দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে৷ আচমকা পিঠে অসম্ভব ব্যথা অনুভব করল মাহি৷ যেন প্রচণ্ড জোরে কেউ চেপে ধরে রেখেছে৷ মনের সমস্ত শক্তি দিয়ে হনুমান চাল্লিশা উচ্চারণ করতে লাগল মাহি৷ ঘুমটা ভেঙে গেল৷ স্বপ্ন দেখছিল সে! তাহলে পিঠে এত ব্যথা কেন?
আবার ঘুমানোর চেষ্টা করল মাহি৷ ভয়ের চোটে মুখে হনুমান চাল্লিশা লেগেই ছিল৷ কিন্তু, ঘুমিয়ে পড়তেই আবার সেই ছায়ামূর্তি সামনে৷ প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করতে লাগল৷ মাহির যেন সারা শরীর অসাড় হয়ে যেতে লাগল৷ কোনও রকমে নিজের সমস্ত প্রাণশক্তি একত্রিত করে চিৎকার করে উঠল৷ পাশের ঘর থেকে ছুটে এলেন মাসি৷ একটু ধাতস্থ হয়ে তাঁকে সব কিছু খুলে বলল মাহি৷ সেদিন মাসিই তাঁর কাছে ঘুমালেন৷কিন্তু, সারারাত আর দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি মাহি৷ আজও সেই কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তার৷ মাসির বাড়ি গেলে ভগবানের ছবি হামেশা কাছে রাখে৷