মাস্টার কার্ড ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বিকাশ চুক্তি-এখন মোবাইলে’ই প্রবাসী–আয় পাঠানো যাবে
স্টাফ রিপোর্টার : মাস্টার কার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও বিকাশ যৌথভাবে আজ রোববার মুঠোফোনে প্রবাসী–আয় বা মানি ট্রান্সফার সেবা চালু করেছে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে তাঁদের স্বজনকে সরাসরি মুঠোফোনে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ওই তিন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যাক ব্যাংক সেবা চালু উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
একজন বিকাশ গ্রাহক একটি একক লেনদেনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারবেন। দিনে পাঁচবার একজন লেনদেন করতে পারবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা পাঠানো যাবে। এভাবে মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেন করা যাবে।
মুঠোফোন অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, বিকাশের এমডি ও সিইও কামাল কাদীর, মাস্টার কার্ডের গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ম্যাথিউ ড্রাইভার, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লড ফারাহ প্রমুখ।
যেভাবে মুঠোফোনে আসবে প্রবাসী–আয়
ধরা যাক, সৌদি আরবে বসবাসরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশে তাঁর স্ত্রীর কাছে অর্থ পাঠাবেন। এ জন্য তাঁকে প্রথমে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের নির্ধারিত এজেন্টের কাছে গিয়ে একটি ফরমে তাঁর স্ত্রীর (প্রাপক) নাম ও ঠিকানা লিখে পূরণ করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা দিলে ওই এজেন্ট ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেফারেন্স নম্বর (এমটিসিএন) বা অর্থ লেনদেনের একটি নির্দিষ্ট নম্বর প্রবাসীকে দেবেন। তখন তিনি সেই নম্বরটি দেশে থাকা স্ত্রীর কাছে পাঠাবেন।
এরপর রেমিট্যান্স প্রাপককে মুঠোফোনে নিজের বিকাশ হিসাবে যেতে হবে। বিকাশ মেন্যুতে গিয়ে ‘রেমিট্যান্স ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন’ নির্বাচিত করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেফারেন্স নম্বর বা এমটিসিএন ও টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে বিকাশ পিন চাপতে হবে। এরপর মাস্টার কার্ডের লেনদেন প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রাপকের হিসাবে জমা হবে।পুরো প্রক্রিয়ায় প্রেরককে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। তবে প্রাপককে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।