• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মাশরাফি-মুস্তাফিজের দাপটে জিতল বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১১:২৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯২ বার

আসমা আখতার  :   শেষমেষ মাশরাফি মুস্তাফিজদের কল্যাণে জিতল বাংলাদেশ।আজ মাশরাফি মুস্তাফিজরা জ্বলে 1না উঠলে খবর ছিল টাইগারদের। ৪১ বলে ৪৭ বলে করে মিঠুন আউট হওয়ার পর বদলে যায় বাংলাদেশ। অবস্থা দেখে দর্শক মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। কারও চোখে অবিশ্বাস, কারও ভ্রু কুঁচকে আছে বিরক্তি! এমনভাবে কেউ উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসে! স্টেডিয়ামের গ্যালারি কিংবা টেলিভিশনের সামনে বসা দর্শক, সবার চোখে মুখে যেন এই প্রশ্নটাই ভাসছে—কী হলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের?

হতাশা আর আক্ষেপ ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে! অমন সুন্দর শুরুর পরও শেষ দিকে এসে এভাবে খেই হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ! ১০ ওভার শেষেও রানটা ছিল ২ উইকেটে ৭৪। ওভারপ্রতি ৭-এর ওপরে। ওপেনার মোহাম্মদ মিথুনও আশা দেখাচ্ছিলেন কিছু একটা করার। সেখান থেকে কিনা বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করল ১৩৩ রানে! গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হতাশাজনক পরাজয়, সেটি ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো ম্যাচ আর হতে পারত না।

সেটিতেও নিজেদের ইনিংস শেষে পরাজয়ের চোখরাঙানির সামনে বাংলাদেশ! তা-ও ব্যাটিং শেষে যা একটু আশা জাগছে, তার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহকে। শেষ ওভারে এক চার, এক ছয়ে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে ১৭ রান না এলে যে আরও করুণ দেখাত বাংলাদেশের ইনিংসটিকে।টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌম্য-মিঠুনের ব্যাটে সুন্দর সূচনাই এসেছিল।

পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারেই ৪৮ রান করে ফেলেছিল দল। কিন্তু প্রথম ধাক্কাটাও ৬ষ্ঠ ওভারেই। গত কয়েকটি ম্যাচে কেন যেন বারবার ‘২০’-এর ঘরে গিয়ে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন সৌম্য, আজও তাই। ১৪ বলে ২১ রানের ঝকঝকে ইনিংসটি সুন্দর কিছুর প্রত্যাশা জাগিয়েই শেষ। গত ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটা খেলা সাব্বিরও বেশিক্ষণ টিকলেন না আজ।

এরপরের ৭-৮ ওভারের গল্পটা মোহাম্মদ মিঠুনের নিজেকে চেনানো আর মুশফিক-সাকিবদের হতাশার। শুধু অনুশীলনে ভালো করছেন বলেই মিঠুনকে দলে সুযোগ দেওয়ায় কোচ ও দলের ব্যবস্থাপনার কত সমালোচনা গত কদিন ধরে! সেটির যেন একটা জবাব দিয়ে দিলেন মিঠুন। দুর্দান্ত ফ্লিকে দুই ছক্কায় উজ্জ্বল ইনিংসে ৪১ বলে ৪৭ রান করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার।

মিঠুন আউট হতেই যেন পথ হারাল বাংলাদেশ ইনিংস। মুশফিক পারলেন না, সাকিব আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই দুই ভরসার ফর্মে ফেরা খুব বেশিই জরুরি হয়ে উঠেছে।
সাকিবরা যা পারেননি, সেটিই শেষ দিকে কিছুটা করার চেষ্টা করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারের ওই ১৭ রান তো ছিলই, বাংলাদেশ যখন ১২০-পেরোতে পারবে কি না এই সন্দেহ জাগছিল, সেই মুহূর্তে ২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
তাঁর সেই ইনিংসের সুবাদেই বাংলাদেশ শেষমেষ জয়ের বন্দরে পৌছে।