মালিককে গুম করে ক্রোড়পতি-কে এই রানা?
সাইফুল বারী মাসুম : মালিককে গুম করে ক্রোড়পতি বনে যাওয়া কে এই রানা ?? তাকে নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় মুখে মুখে আলোচনা। কোথায় পেল সে আলাদিনের চেরাগ? সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দরিদ্র ঘোড়ার গাড়ী চালক বাবার সন্তান রানা ঢাকায় স্বল্প বেতনে চাকরি করতো মিরপুর ১ নাম্বার বাসস্টান্ডের সাথে সংগীতা মার্কেট এর ১০ নং দোকান চ্যালেঞ্জারে। গার্মেন্টস এক্সসেরিজের এই দোকানের মালিক রাজ্জাক রানার করুন অবস্থা দেখে দয়া করে একটি নিজের দোকান চ্যালেঞ্জারে চাকরি দেন। এই রাজ্জাক সাহেব এবং রানার বাড়ী পাবনার সিরাজগঞ্জ এলাকায়।
ধুরন্ধর রানা অতি সহজেই সরলমনা রাজ্জাক সাহেবের বিশ্বাস জিতে নেয় এবং নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে দোকান থেকে টাকা হাতাতে থাকে। এরপর একসময় রাজ্জাক সাহেব তার দু” কর্মচারী রানা এবং আবুল কালাম কে সাথে নিয়ে হংকং এ যান মালামাল কিনতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে রাজ্জাক সাহেবের ঐ যাওয়াই শেষ যাওয়া। তাঁর কর্মচারীরাই তাঁকে গুম করে ফেলে…?
ক্রিমিনাল মাইন্ডেড ধুরন্ধর রানা এবং আবুল কালাম দুইজনে একজোট হয়ে অপরাধ মুলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে খোদ মালিক রাজ্জাক সাহেবকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্জাক সাহেবের বিপুল ধনসম্পদ কব্জা করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়। দেশে ফিরে ঐ দুই ক্রিমিনাল নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে একেক জন ক্রোড়পতি গাড়ি-বাড়ির মালিকও বনে যায়।
এরপর ২০০২ সালের শেষের দিকে চতুর রানা চ্যালেঞ্জার থেকে বেরিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় চলে আসে এবং নির্বিবাদে তার ধান্ধাবাজী শুরু করে। ২০০৪ সালে জমি কেনা শুরু করে। ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সালের দিকে পলাশ বাড়ী বটতলায় পাশাপাশি দু’দুটো রাজপ্রাসাদতুল্য বিশাল অট্টালিকা বানিয়ে ফেলেন মাত্র এক বছর সময়ের মধ্যে। এরপর শুরু হয় ধুরন্ধর রানার অনিয়ম আর অনাচার।
অবৈধ ভাবে কামাতে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিনে ফেলেন লেটেস্ট মডেলের সিলভার কালারের প্রিমিও গাড়ি-ঢাকা মেট্রো ৩৯-৬২৬৬। সাথে কিনে লাল পালসার রোড মাস্টার বাইক। সাথে বাইপাইল জামপাড়া, আশুলিয়ায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ব্যবসা শুরু করে । এই বাটপার ক্রিমিনালের আরো অসংখ্য অপরাধের কাহিনী’র অনুসন্ধান চলছে..। দুদক সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যাপক তদন্ত করলে এই ক্রিমিনাল রানার আরো চাঞ্চল্যকর অপরাধের কাহিনী বের হয়ে আসবে।