মান্নার সন্ধান চেয়ে বনানী থানায় জিডি
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা : মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার।মান্নার বড় ভাইয়ের স্ত্রী বেগম সুলতানা মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বনানী থানায় জিডি করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি ভূইয়া মাহবুব হাসান।
সুলতানা জিডিতে দাবি করেছেন, সোমবার রাত ৩টা- সাড়ে ৩টার দিকে ৬-৭ জন লোক গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বনানীর বাসা থেকেই মান্নাকে নিয়ে যায়।তিনি মান্নার সন্ধান চাওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন।
মান্নার মেয়ে নীলম মান্না বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।এদিকে মান্নাকে আটকের খবর নাকচ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নূর আলম বলেছেন, এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক বা গ্রেপ্তার কোনোটাই করা হয়নি। তবে অন্য কোনো সংস্থা তাকে আটক করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোনে কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে বাংলাদেশজুড়ে তুমুল আলোচনা চলছে। চলমান পরিস্থিতিতেসেনা হস্তক্ষেপের আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। পাশাপাশি বিএনপি জোটের আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার কথাও বলতে শোনা যায় তাকে।
এর ভিত্তিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে।এদিকে ওই অডিও ক্লিপের কথোপকথনের সূত্র ধরে মান্নার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানায় ছয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।শাহবাগার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, যে কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কোন এসআই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য নোট করা হলো উল্লেখ করে একটি জিডি করে থাকেন।তেমনি আজকে (সোমবার) মান্না, খোকা ও অজ্ঞাত ব্যক্তির কথোপকথনের খবরটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার ওসি সিরাজুল ইসলাম থানায় জিডি করে রেখেছেন।
পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, সোমবারের খবরের ভিত্তিতে মান্না, খোকা ও অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে থানায় জিডি করা হয়েছে।রমনা থানায় এই কথোপকথোনকে খবরকে ভিত্তি করে দুটি জিডি হয়েছে পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান।