• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

`মানুষ মারা কি আন্দোলন? কত লাশ তাঁর চাই?’


প্রকাশিত: ৯:২৩ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এসএসসি ও সমমানের ১৫ লাখ পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে এবার একটু ক্ষান্ত দেন। পরীক্ষার পর আবার শুরু (আন্দোলন) করেন। ’
আজ শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ না দিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক মাস ধরে চলা সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা বাংলাদেশকে জল্লাদখানা বানাচ্ছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণকে সোচ্চার থাকতে হবে। পেট্রলবোমা মেরে মানুষ মেরে বিএনপি চেয়ারপারসন কী পাবেন। মানুষ মারা কি আন্দোলন? কত লাশ তাঁর চাই? ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের জীবন রক্ষায়, জনগণের নিরাপত্তায়, দেশের কল্যাণের জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিসের আশায় উনি একটার পর একটা লাশ ফেলছেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া যেন তাঁর একটা ইচ্ছা, কি অদ্ভুত ব্যাপার! ’

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে ফোন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের জন্য নিজে টেলিফোন করেছি। করে কী পেয়েছি, কি অপমানিত হয়েছি, মানুষ জানে। আঁতেলরা, যাঁরা এত কথা বলেন, টক শোতে কথা বলেন, তাঁদের নিজের সঙ্গে এমন আচরণ হলে বুঝতেন।

১৯৭৫-এ আমার বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান, ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট আমাকে হত্যায় খালেদার মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও তার ছেলে জড়িত, তা তো জানি। আমি তো নিজের মা-বাবা হারিয়েছি। সব জেনেও দেশের স্বার্থে আমি ফোন করেছি। ফোন করে যা শুনেছি, তা তো মানুষ জানে, আমরা তো এগুলো শুনতে অভ্যস্ত না। ’

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবরে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গেলাম শোক জানাতে। কিন্তু গেট বন্ধ করে আমাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হলো না। ওনাকে (খালেদা) ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে, কিন্তু সেখানে কি একটা ভদ্র মানুষও ছিল না যারা গেট খুলে দিতে পারত? ’
চলমান সংকট মোকাবিলা করার জন্য তিনি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।