‘মানি ইজ প্রবলেম’-তিশা-চঞ্চল চৌধুরী’র
বিনোদন রিপোর্টার : আসছে ঈদে তিশা ও চঞ্চল চৌধুরী’র ‘মানি ইজ প্রবলেম’-। একসঙ্গে নুশরাত ইমরোজ তিশা ও চঞ্চল চৌধুরী জুটি হিসেবেও বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে সফল হয়েছেন। তাদের অভিনয় গুণ দেখে সবাই মুগ্ধ হন। শুধু নাটক নয়, চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও তারা সফলতা পেয়েছেন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। সম্প্রতি তারা অভিনয় করলেন আসছে ঈদের একটি ছয় পর্বের নাটকে।
একজন অভিনয়শিল্পীকে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে যতটা কষ্ট করতে হয় তার চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে। জনপ্রিয় একজন শিল্পীর কাছে দর্শকদের প্রত্যাশার মাত্রা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। চঞ্চল ও তিশার কাছেও বিষয়টি একই রকম। নিজের অর্জিত অবস্থানকে ধরে রাখার পাশাপাশি তা আরও সমৃদ্ধ করতে তারা দুজনই এখন নিজেদের ভাবনা ও কাজের ধারা পাল্টে ফেলেছেন।
চঞ্চল বলেন, ‘আমি বরাবরই চরিত্রের ব্যাপারে একটু চুজি। অভিনয়ের জায়গা আছে, এমন চরিত্রে কাজ করতে ভালো লাগে। একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে যতটা শ্রম দিতে হয় তা-ই দিতে চেষ্টা করি। কোনো চরিত্রে অভিনয় করে যদি নিজেই সন্তুষ্ট হওয়া না যায়, তবে তা কখনো দর্শকের মন জয় করতে পারে না।’
অন্যদিকে তিশা বলেন, ‘আর্টিস্টরা আসলে একটু লোভী প্রকৃতির হয়। একটি চরিত্রে কাজ করার পর মনে হয় ওই চরিত্রে যদি কাজ করতে পারতাম। চরিত্র চুজিংয়ের কোনো শেষ নেই। আমরা অনেকটা নিডি টাইপের। আমি এখন ভিন্ন চরিত্র কাজ করতে আগ্রহী। আনকমন, অফট্র্যাকের কিছু স্ক্রিপ্ট আমি খুঁজছি।
যে স্ক্রিপ্টে ইমোশন আছে, ট্র্যাজেডি, রোমান্স, বেসিক্যালি রিয়েলিটি আছে—এ ধরনের কাজ খুঁজছি। দুজন ছেলেমেয়ে কাছাকাছি হলো—একে অপরকে ফুল দিল, তাদের প্রেম হলো। এ ধারার কাজের প্রতি আমি মনোযোগী নই। আমার দর্শকরাও নিশ্চয়ই আমার কাছে এখন ভিন্নধর্মী কাজ আশা করেন।’
এবার তারা জুটি হয়ে অভিনয় করলেন জননন্দিত নির্মাতা মাসুদ সেজানের রচনা ও পরিচালনায় আসছে ঈদের জন্য নির্মিত ছয় পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মানি ইজ প্রবলেম’-এ। এতে আরও অভিনয় করেছেন ডা. এজাজ, শামীমা নাজনীন, মিশু সাব্বির, রিফাত চৌধুরী, মুনিয়া ইসলাম প্রমুখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, কয়েকশ কোটি টাকার মালিক ছিলেন আমজাদ খান, হুলুস্থূল টাইপের শিল্পপতি। তবু আরও টাকার জন্য তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। এরকমই একটি সময়ে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। তার একমাত্র ছেলে আমির খান বাবার এই অকাল মৃত্যুতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের হাল না ধরে হঠাত্ করেই দার্শনিক হয়ে যায়।
তার মনে হয়েছে একটা মানুষের জীবনে এত টাকার দরকার নেই। নানা মাধ্যমে সে টাকা বিলিয়ে দিতে শুরু করে। এ নিয়েই ঘটতে থাকে মজার মজার সব ঘটনা। সুজানা ও আরেক কোটিপতির মেয়ে, আমির খানের সঙ্গে তার প্রেম। আমিরের এই হঠাত্ করে দার্শনিক হয়ে ওঠাকে প্রেমিকা সুজানা ও ভাই সোহেল খান কেউ-ই স্বভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। এই দুজন এক হয়ে আমির খানের এই পাগলামি বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লাগে।
নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘নাটকের গল্পটি মজার। এতে আমার চরিত্রের নাম আমির খান। বাবা মারা যাওয়ার পর হঠাত্ করে আমি দার্শনিক হওয়ার চেষ্টা করি। যা আমার প্রেমিকা সুজানা মেনে নিতে পারে না। আশা করছি, নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে।’