• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মানিলন্ডারিংয়ে বীমা কোম্পানি-তথ্য ফাঁস বিএফআইইউ কর্মশালায়


প্রকাশিত: ১০:৩৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১১ বার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিশ্বে মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলোকে ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। প্রতি বছর সারাবিশ্বে যত মানি লন্ডারিং হয়, তার প্রায় ২০ শতাংশই বিমা কোম্পানিগুলোকে ব্যবহার করা হয়। এ খাতে অর্থ পাচারের সিংহভাগ ঘটনাই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংশ্লেষের মাধ্যমে ঘটে থাকে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। বিমা খাতের লাইফ ও নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের জন্য বিএফআইইউর উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের পরিচালক এসএম মাসুদুল হক ও সহকারী পরিচালক আবু মাহমুদ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বিএফআইইউ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে উলে­খযোগ্য হলো-ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিসগুলো রি-ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম বাবদ বিদেশি নামসর্বস্ব ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করা, বিমা পলিসির মেয়াদপূর্তি সত্ত্বেও পলিসির বিপরীতে গ্রাহকদের দাবি নিষ্পত্তি না করা, প্রিমিয়াম বাবদ গৃহীত অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিনিয়োগ না করে অন্যত্র স্থানান্তর, প্রিমিয়ামের অর্থ পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন তছরুপ, বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন পরিচালনা করা।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোছাইনী মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের নানা খুঁটিনাটি দিক ও এ বিষয়ে করণীয় বিষয়ে বিশদভাবে উপস্থাপন করেন।