মানিকগঞ্জে ফিল্মি স্টাইলে স্বর্ণালংকার লুট
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে পালানোর পথে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই এসআই ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন এবং একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার, একটি পিস্তল ও কিছু স্বর্ণালংকারসহ এক ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টার দিকে সাটুরিয়া উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। আহত এসআই আসলাম ও এসআই ওয়াহেদুজ্জামানকে রাতেই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কর্তব্যরত এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য আসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং ওয়াহেদুজ্জামান বোমায় আহত হয়েছেন। তবে দু’জনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের স্বর্ণকারপট্টি এলাকায় নাগ জুয়েলার্সে একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট করে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার পর পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে পুলিশের সকল ইউনিট জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক ও মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায়।
তিনি আরো জানান, রাত ৮টার দিকে সাটুরিয়া উপজেলা সদরে পুলিশ দুটি গাড়িকে চ্যালেঞ্জ করলে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও গাড়ি ডাকতদের আটকাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় পুলিশের এসআই আসলাম, ওয়াহেদুজ্জামান ও পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ একজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি স্বর্ণকারপট্টিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বাকিদের ধরতে ও লুটকরা মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
দোকানের মালিক চন্দন নাগ বলেন, একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার ও একটি ছাই রঙের মাইক্রোবাস করে ৭-৮ জনের এক দল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দোকানের ভেতরে ঢোকে। পরে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি স্বর্ণের দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদে তাদের দোকান বন্ধ রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরে প্রতিবাদ সমাবেশে ও মানববন্ধন করার কথা রয়েছে।