মানবিকতার ‘আত্মপ্রতিকৃতি’ বেলাল চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার : মানবিকতার ‘আত্মপ্রতিকৃতি’ ছিলেন বেলাল চৌধুরী।স্বাধীনতার পরে ও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে প্রগতিশীল আন্দ লনে কবি বেলাল চৌধুরীর বড় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে মঙ্গলবার বিকালে কবির মরদেহ দেখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন: ব্যক্তিগত জীবনে সদালাপী, বিনয়ী ও রসবোধসম্পন্ন বেলাল চৌধুরী কলকাতা ও বাংলা সাহিত্যের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন।বেলাল চৌধুরী নিজের চেয়ে মানুষের কথাই বেশি ভাবতেন উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন: তার যেসব সৃষ্টি রয়েছে, সেসব কেউ অবহেলা করতে পারে বলে মনে হয় না। সেসব সৃষ্টি সঠিকভাবে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। এজন্য বাংলা একাডেমি কাজ করবে।
আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন: কবি বেলাল চৌধুরী সবসময় প্রগতির পক্ষে, মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল তা যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল তার চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহন করেছে, এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮০ বছর বয়সী কবিকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।বিগত প্রায় ৪ মাস ধরেই অসুস্থ হয়ে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কবি ।
বেলাল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতায় একজন পথিকৃৎ। তার লেখা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।কবি বেলাল চৌধুরীর লাশ মঙ্গলবার রাতে বিএসএমএমইউয়ের হিমঘরে রাখা হবে। বুধবার সকালে তার লাশ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮০ বছর বয়সী কবিকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর ফেনীর শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল চৌধুরী।
সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি। অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও। ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’,‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’ তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।