মাঝে মাঝে লোডশেডিং ভালো- তৌফিক-ই-ইলাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, আপডেট: ১৯:৪৩, এপ্রিল ২৯, ২০১৪:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে যৌথভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে আজ মঙ্গলবার চীনের ‘চায়না হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিটেডে’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সমঝোতা স্মারক সই শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াট, তবে সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি উত্পাদন সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট উত্পাদনকারী বিদ্যুেকন্দ্র বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্রগুলো দাবদাহের কারণে তাদের সর্বোচ্চ উত্পাদন করতে পারছে না।
মহেশখালীর প্রস্তাবিত বিদ্যুেকন্দ্রের অন্তত একটি ইউনিট তিন বছরের মধ্যে শেষ করার জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানান তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, বাগেরহাটের রামপালে একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ দুটি বিদ্যুেকন্দ্রেই আদর্শ প্রযুক্তির ব্যবহার অনুসরণ করা হবে, যাতে অতি কম মাত্রায় দূষণ হয়। এসব কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে অত্যন্ত কার্যকর।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন, বিদ্যুত্সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবির চেয়ারম্যান আবদুহু রুহুল্লাহ এবং চীনের হুয়াদুয়ান করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট চেন নিওনগাও।