• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মহা বেকায়দায় সরকারের “মায়া”-মন্ত্রী পদে থাকার কোনো বৈধতা নেই-


প্রকাশিত: ৬:২৮ পিএম, ২৪ জুন ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৬ বার

maya-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান.ঢাকা: ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের খালাস আদেশ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন; সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

বুধবার এই রায়ের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পদে থাকার কোনো বৈধতা নেই বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কৌসুলি এডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের কাছে তার মতামত জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১৪ জুন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ দিন মামলাটি হাইকোর্টে নতুন করে শুনানির আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বুধবার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হলো।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত তাঁর ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ওই রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।

সেনা-সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী, দুই ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী এবং সাজেদুলের স্ত্রী সুবর্ণা চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ৫ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ৬ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেও মামলার বাকি আসামিদের খালাস দেন।