মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষা দাও-সাকা-মুজাহিদ
বিশেষ প্রতিবেদক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তবে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদনের খবরকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেন।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি জেনেছি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। তবে এখনো তা আমার কাছে আসেনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বেলা তিনটার দিকে বলেন, ‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু আমি বাসায় এ ব্যাপারটা এখনো নিশ্চিত নই।’
এরপর বেলা পৌনে চারটার দিকে স্বরাষ্ট্রসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন তাঁর হাতে এসেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন এটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।অবশ্য এই দুই পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। আর জামায়াতে ইসলামীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান প্রাণভিক্ষার খবরটিকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন।সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও সন্তানেরা গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।
আর মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রাণভিক্ষার বিষয়ে পরিবারের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি।
বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, আইনজীবীরা মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ এখনো আইনজীবীদের সাক্ষাতের অনুমতি দেননি।