• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘মস্তানের ভূমিকায় শিক্ষকের ইমেজ ধূলিস্যাত’


প্রকাশিত: ১:৫৩ পিএম, ৮ জানুয়ারী ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৪ বার

কক্সবাজার প্রতিনিধি : এবার মস্তানের ভূমিকায় শিক্ষকের ইমেজ ধূলিস্যাত হয়েছে কক্সবাজারে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সুষ্টু তদন্ত ও দোষী শিক্ষকদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবি coxbazer-ayet-www.jatirkhantha.com.bdকরেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জাতিরকন্ঠ প্রতিবেদককে জানান, স্কুলের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আয়াত উল্লাহ নামে এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়েছে কয়েকজন স্কুল শিক্ষক।রোববার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।জানা গেছে, আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার ছেলে প্রথম শ্রেণিতে ‘এ প্লাস’ না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে সকালে স্কুলে যান। এছাড়া পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক বেতন কেন বাড়ানো হয়েছে, সে বিষয়েও প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডেকে আনেন বোরহান উদ্দিন। এরপর’ও তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে জহিরুল হক আয়াত উল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে লাথি মেরে নির্যাতন চালায়। আয়াত উল্লার চিৎকারে পথচারীরা ঘটনাস্থলে গেলেও মস্তান শিক্ষকদের মারমুখি আচরণে কেউ এর প্রতিবাদ করেননি।

আয়াত উল্লাহ জানান, দুই স্কুলে প্রায় সময় অনিয়ম হয়ে থাকে। কিছু দিন আগে কোনো ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। কেজি স্কুলেও চলছে নানা অনিয়ম। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম করে অনেক শিক্ষক। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরমক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তিনি আরও বলেন-আমার ছেলের কাঙিক্ষত ফলাফল না পাওয়ায় তা জানতে আমি স্কুলে যাই।

ওই সময় কোন যুক্তিতে ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানো হয়েছে তা জানতে চাওয়া মাত্র আমার উপর নির্যাতন করা হয়। দুই শিক্ষকই এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। জহিরুল হক, নজিবুল্লাহ, নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাকে নির্যাতন করেছেন অভিযোগ আয়াত উল্লাহর।এ সম্পর্কে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন দাবি করেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। রাতে ফেসবুকে দেখতে পেয়ে আমি নির্যাতনের শিকার অভিভাবক আয়াত উল্লাহ সাথে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।