মসজিদে নববীতে হামলার পরিকল্পনাকারী রিয়াদে গুলিতে নিহত
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দুই ব্যক্তি গুলি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন গত বছর পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীর (সা.) বাইরে চালানো হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই পরিকল্পনাকারীর নাম তায়েয়া সালেম ইয়াসলাম আল সায়ারি। নিহত্য অপর ব্যক্তির নাম তালাল বিন সামরান আল-সায়েদি।
শনিবার রিয়াদের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ইয়াসমিনে এক অভিযানে তারা নিহত হন বলে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, সৌদি বংশোদ্ভূত সায়ারি ও সায়েদির অবস্থানের খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকা ঘিরে রাখে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মসমর্পণ করতে বললে তারা আত্মঘাতী জ্যাকেটে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় তারা।
শনিবার রাতে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আল তুর্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। তখন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করতে বাধ্য হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোলাগুলির সময় ওই এলাকার কোনো বাসিন্দা বা পথচারীদের কেউ আহত হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য সামান্য আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
নিহত দুই ব্যক্তি যে বাড়িটিতে অবস্থান করছিলেন, সেখানে তারা বিস্ফোরক এবং আত্মঘাতী বেল্ট তৈরি করছিলেন। অভিযান শেষে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি বন্দুক, একটি গ্রেনেড এবং কয়েকটি আত্মঘাতী বেল্ট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত আল সায়েরি আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট এবং অন্যান্য ডিভাইসের নকশা তৈরি করতেন। তার তৈরি বিস্ফোরকের সাহায্যেই গত বছরের ৪ জুলাই মদীনার মসজিদে নববী (সা.) এবং জেদ্দার ডা. সোলাইমান ফকিহ হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। এর আগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্টও দক্ষিণাঞ্চলীয় আভা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছিল।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আল সায়েরি নিউজিল্যান্ডে বৃত্তি নিয়ে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। পরে সেখান থেকে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যোগ দেন। পরে তিনি তুরস্ক, সুদান এবং ইয়েমেন হয়ে সৌদিতে হামলার পরিকল্পনা এবং বিস্ফোরক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ফিরে আসেন।