মর্মান্তিক-মহিউদ্দিনের কুলখানির মেজবানে পদদলিত ১০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরীর জামালখান আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ জাতিরকন্ঠ প্রতিনিধিকে বলেন, ওই কমিউনিটি সেন্টার থেকে অন্তত ১৫ জনকে আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১০জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।এ ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ স্থানীয়ভাবে ছিলেন দারুণ জনপ্রিয়।তার কুলখানির জন্য সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অমুসলিম এবং যারা গোমাংস খান না, তাদের জন্য মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছিল ওই রীমা কমিউনিটি সেন্টারে।
ঘটনাস্থলে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জাতিরকন্ঠ প্রতিনিধিকে বলেন, অনেকে পড়ে গেছেন, মানুষের ভিড়ের কারণে অনেকে পদদলিত হয়েছেন। তাদেকে আমরা হাসপাতালে নিয়েছি, সেখানে ১০ জনের জীবনাবসান হয়েছে।কমিউনিটি সেন্টারের ফটকে পুলিশের তৎপরতার অভাব ছিল কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নয়।
এটা মারামারি বা গ্রুপিং বা অন্য কোনো বিষয় না। নিরাপত্তার অভাব হয়নি, অতিরিক্ত মানুষের কারণে এবং ঢোকার সময় হুড়োহুড়ির কারণে অনেকে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়েছেন।অন্য যেসব কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছে, সেসব জায়গায় দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ইকবাল বাহার।