• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মমি থেকে স্বর্ণমুদ্রা-লুটের মালে ভরপুর ট্রাম্পের দেশ


প্রকাশিত: ৮:৩৮ পিএম, ৩১ মার্চ ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৩ বার

আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার :  মার্কিন সেন্সাস ব্যুরো ডকুমেন্টস মোতাবেক, ২০১৬ সালেই এমনটা momi-www.katirkhantha.com.bdঘটেছে। হিসেব বলছে, গত ২০ বছরে এত প্রত্নবস্তু মার্কিন দেশে ঢোকেনি, যা এই এক বছরে প্রবেশ করেছে।

৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রত্নসামগ্রী মিশর ও তুরস্ক থেকে ‘লুঠ করেছে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই খবরে সত্যিই চমকে ওঠার কথা। পোড় খাওয়া পাঠক বলতেই পারেন, এ কি নেপোলিয়নের আমলের গল্প নাকি, যে একটা দেশ থেকে যা ইচ্ছে লুঠ করে নিয়ে আসা যায়!

শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, মার্কিন সেন্সাস ব্যুরো ডকুমেন্টস মোতাবেক ২০১৬ সালেই এমনটা ঘটেছে। হিসেব বলছে, গত ২০ বছরে এত প্রত্নবস্তু মার্কিন দেশে ঢোকেনি, যা এই এক বছরে প্রবেশ করেছে। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এই বিপুল প্রত্নসামগ্রী কিন্তু কোনও মিউজিয়ামে রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ গুলি সরাসরি চলে গিয়েছে অ্যান্টিক ডিলারদের গর্ভে। সেখান থেকে অবশ্যই এদের ঠাঁই হচ্ছে ধনকুবেরদের বৈঠকখানায়। ‘লাইভ সায়েন্স’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি ঠিক কী ধরণের প্রত্নবস্তু এভাবে ‘সংগৃহিত’ হয়েছে।

২০১১ সালে মিশরে বিপ্লব ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এই লুঠতরাজ শুরু হয়। তুরস্কেও একইভাবে লুঠের ঘটনা ঘটে। ইরাক ও সিরিয়াতেও তুরস্কের পথ ধরেই চলে প্রত্নলুণ্ঠন। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সেখানকার অনেক প্রাচীন শিল্পনিদর্শন তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্কিন আর্ক-হান্টারদের পক্ষে লুঠের কাজ সহজতর হয়ে যায়। এই ‘লুঠ’ হওয়া সামগ্রীর মধ্যে প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা থেকে শুরু করে মমি পর্যন্ত রয়েছে। সেগুলিকে অবশ্যই চোরাপথে মার্কিন মুলুকে চালান করে ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী ও দালালরা।