মন্ত্রী বাছাইয়ে মুন্সিয়ানা শেখ হাসিনার-
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মন্ত্রী বাছাইয়ে এবার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা বিষয়ভিত্তিক ঝানু এবং অনেকটা অলরাউন্ডার এর মতো তাদের যোগ্য মন্ত্রণালয়ে বসিয়েছেন।
যাহোক, আগের মন্ত্রীদের দপ্তরে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রাখা হয়েছে ছয়টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের পরই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে রয়েছেন ২৫ মন্ত্রী এবং ১১ প্রতিমন্ত্রী। এদের মধ্যে ১৪ জন নতুন মুখ। আর গতবারের আগের কোনো সময় মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, এমন পাঁচজনকে এবার ফেরানো হয়েছে।
নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন পেশাদার কূটনীতিক এএইচ মাহমুদ আলী, যিনি ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর পাঁচ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েছেন হাছান মাহমুদ। গত পাঁচ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসে হাছান মাহমুদ ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তবে তখন অল্প কিছুদিন পর তাকে সরিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী করা হয়।
বাণিজ্যে পূর্ণমন্ত্রী দেয়া হয়নি। প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুকে। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে।এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। আর উপমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা মহিবুল হাসান চৌধুরীকে করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী।