• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাংসদরা ভাইবার হোয়াটসএ্যাপ ব্যবহার করলেও পাবলিকের জন্যে না কেন?


প্রকাশিত: ৯:৫৩ এএম, ২১ জানুয়ারী ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার

Apps-ban-in-Sindh-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক. ঢাকা: সম্প্রতি জনপ্রিয় ভিওআইপি এপি¬কেশন ভাইবার, ট্যাঙ্গো, মাইপিপল, লাইন, হোয়াটসএ্যাপ বন্ধ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থা বিটিআরসি এটি বন্ধ করে দিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারের মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাংসদসহ সরকারি লোকজন ভাইবার হোয়াটসএ্যাপ ব্যবহার করে সুবিধা নিলেও করলেও পাবলিকের জন্যে তা বন্ধ রাখায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগী ও সুধিজনরা বলছেন, এখন এক দেশে দুই আইন চলছে। ক্ষমতাসীনরা নিজেরা সুবিধা নিয়ে জনগনকে ‘কলা’ দেখাচ্ছে।এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে-তাহলে কি জনগন সকল ক্ষমতার মালিক না!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ভাইবারসহ অন্যান্য ভয়েস ওভার প্রোটোকল এ্যাপি¬কেশন বন্ধ করলেও জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভাইবার, ট্যাঙ্গো, হোয়াটসএ্যাপে এ্যাকাউন্ট রয়েছে। স্পিকার ড. শিরিণ শারমিন চৌধুরীকে প্রায়ই দেখা যায় ভাইবার ব্যবহার করতে। একইভাবে দেখা যায় ইন্টারপার্লামেন্ট ইউনিয়নের (আইপিইউ) চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরীকেও।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ কমপক্ষে দু’ডজন মন্ত্রীকে ভাইবার ও হোয়াটসএ্যাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছেও ভাইবার ও হোয়াটসএ্যাপ বেশ জনপ্রিয়।

এদিকে সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা কথা বলবেন সেই মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্য মূলত: এই ভিওআইপি এ্যাপি¬কেশনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ সন্ত্রাসীরা ট্র্যাকিংয়ের ভয়ে এখন আর মোবাইলে কথা বলছেন না। তারা এসব এ্যাপি¬কেশনগুলো ব্যবহার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই ভাইবারসহ অন্য এ্যাপি¬কেশনগুলো খুলে দেয়া হবে।

প্রায় চার মাস ধরে শূন্য রয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদটি। এ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকলেও তাকে আপদকালীণ দায়িত্বও দেয়া হয়নি। ফলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকা- দারুনভাবে ব্যাহত হয়েছে। মন্ত্রী ছাড়াই বিটিআরসিসহ অধীনস্ত সংস্থাগুলোর একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে মহানবী, হজ্ব ও তবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত বছরের ১ অক্টোবর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বাদ দেয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। এরপর থেকে মন্ত্রীর পদটি শূন্য রয়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিটি ডিভিশন নামে একটি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাকেও এ বিভাগের স্বাধীন দায়িত্ব না দেয়ায় এ মন্ত্রণালয়টির দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে থাকায় ছোট-খাট অনেক বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সববিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়াটাও সমীচিন মনে করেন না।