মন্ত্রী এমপিরা ফেসবুকে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণায়
নাটোর থেকে সংবাদদাতা: এবার ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন মন্ত্রী এমপিরা ।পৌরসভা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহার এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পোস্টার আর ব্যানার ঝোলানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। ফেসবুকে সরব রয়েছেন প্রার্থীর সমর্থকরাও। তারা তাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন ফেসবুকে।
মন্ত্রী এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধ হলেও ফেসবুকে তারা তাদের পরিচিত ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থণা করে চলেছেন। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন তরুণ মন্ত্রী ও সাংসদেরা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুকে নাটোর ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রকিবুল হাসান জেমসের নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে একটি পোষ্ট শেয়ার করে ভোট চেয়েছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই পোষ্টে লাইক পড়েছে শত শত টি। নাটোর পৌরসভায় নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি উমা চৌধুরী জুলি, নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে শফির উদ্দিন মন্ডল, সিংড়া পৌরসভা নির্বাচনে জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রামে বারেক সরদারসহ অনেকের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ওই পোষ্টটি দেয়া হয়। সেই পোষ্ট নিজ ওয়ালে শেয়ার করে তাদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
অন্যদিকে সেই পোষ্টটি ট্যাগ করা হয়েছে নাটোরের এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে। তবে এমপি শিমুলের ওয়ালে গিয়ে দেখা যায় তিনি স্বয়ং নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
সাভারের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোমিন মিয়া বলেন, ‘যেকোনো ধরনের প্রচারণার ক্ষেত্রেই আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলেই তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।’প্রার্থী ও তাঁদের স্বজন এবং সমর্থকদের ফেসবুক আইডি থেকে রঙিন পোস্টারে প্রার্থীদের ছবির সঙ্গে দলীয় প্রধান ছাড়াও স্থানীয় সংসদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওইসব পোস্টারে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দেওয়া হচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি; যা পৌর নির্বাচনী আচরণবিধির ৪ ও ৮-এর ৫ এবং ৬ উপধারার পরিপন্থী।ফেসবুকে প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে কি না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে কথা বলতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম। তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।এই বিষয়ে জানতে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।