মধ্য বয়সে ইমরান খানের নতুন ইনিংস
পুরো বিষয়টি নিয়েই ঢাক গুড়গুড়। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও রাজনীতিক ইমরান দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কিনা। রহস্য, কানাঘুষা, পরিবারের সদস্যদের অস্বীকার—এরই মধ্যে ৬২ বছর বয়সী ইমরান নিজেই মন্তব্য করেছেন, ‘বিয়ে করাটা অপরাধ নয়।’
বেশ কিছু দিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাউর পাকিস্তানি ক্রিকেট-কিংবদন্তি ও বর্তমানে পুরোদস্তুর রাজনীতিক আবার বিয়ে করেছেন। বিয়ে করাটা সমস্যা নয়, সমস্যা বিয়ের পাত্রী নিয়ে। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সামাজিক পরিমণ্ডলে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইছে ইমরান খানের নতুন ‘স্ত্রী’কে নিয়ে। ৪১ বছর বয়সী ‘পাত্রী’ রেহম খান বিবিসির সাবেক উপস্থাপিকা। সমস্যা এটা নয়, সমস্যা রেহমের উদ্দাম জীবনধারা নিয়ে। কবে যেন কথা রটেছিল, রেহম খান একজন ‘সমকামী।’
গণমাধ্যমে রেহমকে বিয়ে করার খবরটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘হায় হায়’ পড়ে গেছে ইমরান খানের পরিবারের অভ্যন্তরে। তাঁর বোন আলিমা খান বলেছেন, ‘এই বিয়ের ব্যাপারটি নিয়ে কিছু দিন আগে ইমরানকে প্রশ্ন করা হলে সে অস্বীকার করেছিল।’
দেশে ফিরেই নাকি বিয়ের কথা জানাবেন ইমরান খান। জিও টিভিকে তিনি বলেছেন, ‘দেশে ফিরেই সুসংবাদটা সবাইকে জানাব। বিয়ে করা অপরাধ নয়। এটি লুকোছাপারও কোনো বিষয় নয়।’ অথচ এই ইমরানই কিছু দিন আগে বিয়ের খবরটি ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আলিমা খান পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। ভাইয়ের বিয়ের ব্যাপারটিতে তাঁর আপত্তি আছে, এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। ইমরানের বিয়ের খবরাখবরের পিঠে নিয়ে এসেছেন তাঁর দুই সন্তানের ব্যাপারটি, ‘ইমরানের বিয়ে তাঁর দুই সন্তানের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ব্যাপারটি তাঁর (ইমরানের) মাথায় রাখা উচিত।’ আলিমা আরও বলেছেন, যেহেতু ইমরান কিছু দিন আগে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকারই করেছেন, তাই তিনিনতুন ‘স্ত্রী’র সঙ্গে মোলাকাতও করতে চান না। সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন, দ্য টেলিগ্রাফ, মেইল অনলাইন।