• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যরাতে ভিসি’র বাসায় হামলার নেপথ্যে-


প্রকাশিত: ৮:০৯ পিএম, ৯ এপ্রিল ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭০ বার

ঢাবি প্রতিনিধি :  মধ্যরাতে ভিসি’র বাসায় হামলার নেপথ্যে-কি ঘটেছিল তা জানালেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি vc-du-www.jatirkhantha.com.bdবললেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশেই উপচার্য (ভিসি) ভবনে হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যার উদ্দেশে হামলা চালানো হয়েছিল। এর সঙ্গে কোটার সংস্কারের কোনো সংযোগ নেই। তারপরও তার ওপর হামলা করা হয়েছে।সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোটার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য তাঁদের জানানো হয়েছে। এরপরও আমার বাসায় তাণ্ডব পরিচালিত হয়েছে। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সেখানে আমার পরিবার ছিল। তাদের জীবন ঝুঁকিতে ছিল। সবাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা ছিল। কিছু ছাত্র আমার প্রাণ রক্ষা করেছে। এখানে লাশের রাজনীতি ছিল। এখানে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে এ হামলা করা হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, হামলার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত। আন্দোলনরত ব্যক্তিরা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চেষ্টার মাধ্যমে দরজা ভেঙেছে। আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখার জন্য বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলাম। এ জন্য বেঁচে গেছি। বেডরুমে থাকলে আমি মারা যেতাম।এখন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আইন নিজের গতিতে চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রোববার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতর তছনছ এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ নীলক্ষেতের দিক দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সেসময় কলাভবন ও মলচত্ত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে বাসভবনে ভাঙচুরের পর রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপাচার্যকে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বাসভবন থেকে বাইরে এনে বসান। উপাচার্য ফোন ধরে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপা আমি ভীতিকর অবস্থায় আছি। পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায়—জানি না। ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী অপর প্রান্ত থেকে কিছু বলার পর উপাচার্য বলেন, ‘আপা বিষয়টি রাজনৈতিক। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যেত।এরপর ফোন করার জন্য উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যের পাঁচ মিনিটের মতো কথা হয়েছে।