মধ্যরাতে নারায়নগঞ্জের ৭ খুনী নূর হোসেনকে হস্তান্তর করল ভারত
বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনকে হস্তান্তর করেছে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৩ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় তাকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বেনাপোল দিয়ে নূর হোসেনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
বেনাপোল থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি নূর হোসেনকে আনতে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর ওই গাড়িতে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পুলিশ ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিকেলে বেনাপোলে রওনা হয়েছে। ওই দলে রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ।
খন্দকার মহিদউদ্দিন আরো বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকে জানানো হয়েছে একজন আসামি আসছে। তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে। সে জন্য যত ফোর্স দরকার তা দিয়ে তাকে আনতে হবে।’
ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন উলফার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের একদিন পরই নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করল ভারত। বুধবার অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
এদিকে ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কলকাতার দম দম সেন্ট্রাল কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নূর হোসেনকে বের করে আনা হয়।গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান প্রধান আসামি নূর হোসেন। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সাত খুনের মামলায় র্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এমএম রানা, নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেনসহ এখনও ১৩ জন পলাতক। ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকা থেকে নূর হোসেন তার দুই সহযোগী সেলিম, সুমনসহ গ্রেফতার হন।