মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের বাথরুমে ছাত্রী রহস্য
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটকের পর এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের বাথরুম থেকে মধ্যরাতে উদ্ধার হলো ছাত্রী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের বাথরুমে ওই ছাত্রী কিভাবে এলেন তা নিয়ে চলছে নানা রহস্য।
জানা গেছে, মসজিদের খাদেম বাথরুমের তালা লাগাতে গিয়ে তা দীর্ঘক্ষণ যাবত বন্ধ থাকায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। উদ্ধারের পর রাত ১টার দিকে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রহস্যময় এ ঘটনা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রক্টর অফিস।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি দাবি করেন, পরিবারের সাথে অভিমান করেই মসজিদে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর মসজিদের খাদেম শফিকুল ইসলাম মসজিদের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাতের খাবার খেতে যান।
পরবর্তীতে রাতে ১০টার দিকে মসজিদ প্রবেশ করে একটি বাথরুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান। দরজা ধাক্কা দিয়ে মসজিদের খাদেম শফিকুল ইসলাম কোনো সাড়া না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। এরপরেও দরজা না খোলায় তিনি মসজিদের পেশ ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মসজিদের পেশ ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসেন।
পরবর্তীতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে ওই ছাত্রী নিজের পরিচয় দেন। পেশ ইমাম তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রক্টরিয়াল টিম এসে ছাত্রীকে বাথরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে অাসতে বলেন এবং তাকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শির্ক্ষাথীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। পরে রাত ১টার দিকে তার বাবা ক্যাম্পাসে আসলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।