মদ যেভাবে খেয়ে ফেলে নারী পুরুষকে-মদখোর গবেষনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
ফক্স নিউজ অবলম্বনে .প্রিয়া রহমান: মদের নেশার সুগভীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মদ একসময় নারী পুরুষ খেলেও পরবর্তীতে ওই মদই খেয়ে ফেলে নারী পুর“ষকে। মদ বদলে দেয় নারী পুর“ষের দৈনন্দিন জীবন আচার আচরনও। ফক্স নিউজ এর মদ ও মদখোর গবেষনায় এ সম্পর্কে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গবেষনায় তথ্য মিলেছে, মদখোর নারী মাত্রাতিরিক্ত মদ খেয়ে অনৈতিক সেক্সচুয়াল নেশায় মাতে।সেক্সের জন্য ইয়ারা সংক্রান্ত পিলও তখন সেবন করে মদখোর নারী।এক স্বামীতে তখন নেশা মেটে না ওই নারীর। দীর্ঘসময় এ অবস্থা চলতে থাকলে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য প্রকট আকার ধপারন করে।অনেকেরই ডিভোর্স হয়ে যায।
ওদিকে পুরুষ মদখোরও কম যান না। এরা মদ খেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে পতিতার মত আচরন করতে থাকে।স্ত্রীকে নর্তকী মনে করে নাচাতেও চায়।অনেকে স্ত্রীকে মদও গেলাতে বাধ্য করে। মাতাল স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে বেসামাল যৌন আচরন করে।দীর্ঘদিন এমন আচরনে একসময় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।
দীর্ঘদিন মদ্য পানে অভ্যস্থ দের সম্পর্কে গবেষনায় মিলেছে-অ্যালকোহল পানে মানুষের দেহের নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আর পানের পর প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে পানাসক্তদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এ লেখায় থাকছে পানাসক্তদের তেমন কয়েকটি ভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির গবেষকরা এ গবেষণাটি করেন। এ জন্য গবেষকরা ১৮৭ জোড়া আন্ডারগ্রাজুয়েট পানীয় পানকারীর তথ্য অনুসন্ধান করেন। এতে উঠে এসেছে বিভিন্ন ধরনের পানকারী ব্যক্তির তথ্য।
১. হাইড ড্রাংক
সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানকারীরা ‘হাইড ড্রাংক’ শ্রেণির। এ ভাগে রয়েছেন ৪২ শতাংশ পানকারী। এ ধরনের ব্যক্তিরা মাতাল হয়ে গেলেও তেমন কোনো ক্ষতি করার প্রবণতা দেখা যায় না।
২. মি. হাইড
দ্বিতীয় পানাসক্তদের মি. হাইড বা এমএস. হাইড শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ধরনের পানকারী ব্যক্তিরা পান করলে কম দায়িত্বশীল, কম বুদ্ধিমান ও বেশি বৈরিভাবাপন্ন থাকেন। তবে এ ধরনের অধিকাংশ পানকারীই নারী।
৩. নাটি প্রফেসর
এ ধরনের ব্যক্তিদের অনেকেই খুব শান্তশিষ্ট থাকলেও অ্যালকোহল পানের পর তা থাকেন না। এ ধরনের পানাসক্তের সংখ্যা প্রায় এক পঞ্চমাংশ।
৪. দ্য মেরি পপিনস
তৃতীয় পানকারী ব্যক্তিদের দ্য মেরি পপিনস নামে অভিহীত করা হয়। এ ধরনের পানকারীর হার প্রায় ১৫ শতাংশ। এরা খুব নিরীহ ও সুখী ধরনের পানাসক্ত।