• রোববার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মতিঝিল বিমান অফিসে ঘুষ দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি


প্রকাশিত: ১০:১৯ পিএম, ২৯ জুন ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬৭ বার

M-B-2স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা: মতিঝিল বিমান অফিসে চলছে তুঘলকি কান্ড।ঘুষ দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি এবং কর্মকর্তাদের নানা অপকর্মে বিমানের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে।

এখানকার কর্মকর্তারা সংস্থার লাভের চেয়ে নিজেদের পকেট ভারী করতেই ব্যস্ত থাকেন সারাক্ষণ। ঘুষ দুর্নীতি যায়েজ করতে এখান কর্মকর্তারা বিমান টিকিট বিক্রির চেয়ে আগে নিজেদের কমিশন নিয়ে দর কষাকষি করেন।

ঘুষ দিতে না চাওযায় মতিঝিল বিমান অফিসের এক কর্মকতা রুবি হক (৪০) নামের এক মহিলা বিমান যাত্রীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন চেয়ার দিয়ে। মাথা ফাটিয়ে ওই কর্মকতা পালিয়ে যেতেও সক্ষম হন।
ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরও পাকরাও হয়নি ওই কর্মকর্তা।অভিযোগ রয়েছে বিমান সিকিউরিটি বিভাগের এক কর্মকর্তা তাকে বাঁচাতে চেষ্ঠা তদবির করছেন।

ঘটনার পর বিমান কর্তৃপক্ষ গাছাড়া ভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও মূল অপরাধিদের বাচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কথামত এবার মতিঝিল বিমান অফিসের সৎ অফিসারদের ফাঁসানোর চেষ্টাও চলছে।এরমধ্যে একজন মহিলা কর্মকর্তাও রয়েছেন।যিনি বিমানের সৎ অফিসার হিসেবে অভিহিত।

ঘটনার শিকার রুবি হক অনলাইন দৈনিক জাতির কন্ঠকে জানান, মতিঝিল বিমান অফিসের ১৮ নম্বর কাউন্টারে তিনি হামলার শিকার হন। এখানে কর্মরত ছিলেন কবির নামের একজন কর্মকর্তা।ওই কর্মকর্তাই ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন।

ধানমন্ডি ৯/এ রোডের ২২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা রুবি হক জানান, তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য টিকিট নিশ্চিত করতে গিয়েছিলেন।এসময় কবির নামের ওই টিকিট কর্মকর্তা তার কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি ঘুষ দিতি না চাইলে প্রথমে কথাকাটাকাটি পরে ক্ষুদ্ধ ওই কর্মকর্তা তাকে চেয়ার তুলে মারধর করেন।

ঘটনাটি মতিঝিল বিমান অফিসের জিএমের সামনে ঘটলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় মতিঝিল বিমান অফিসের এক মহিলা কর্মকর্তা রুবি হককে শান্ত করার চেষ্টা করলেও কবিরের মারমুখি আচরণের কারণে তিনি ব্যর্থ হন।

ঘটনার সময় অকুস্থলে উপস্থিত মতিঝিল থানার দারোগা রাইসুল হক জানান, রুবি হককে আঘাতকারী ওই টিকিট কর্মকর্তার নাম কবির হোসেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। মতিঝিল বিমান অফিসের কর্মকর্তারা জানান, কবির ইয়াবা সেবী। তার বিরুদ্ধে বিমানের ওপর মহলে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন তদন্ত বা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।
২৯ জুন ২০১৪।