মক্ষীরানী শিলাস্তির স্বীকারোক্তি
কিলার শাহীনের বউ হিসেবে ইন্ডিয়া গিয়েছিল-
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম : অবশেষে মক্ষীরানী শিলাস্তি স্বীকারোক্তি দিয়েছে আদালতে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আদালতে আসামি শিলাস্তি রহমান খুনের আগে পরের ঘটনাবলির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (৩ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৪ মে শিলাস্তিসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি শিলাস্তি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। বর্তমানে আসামি শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইয়া রিমান্ডে রয়েছে। আদালতে আনারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে বউ পরিচয়ে ভারতে নিয়ে যান। সোমবার (৩ জুন) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন শিলাস্তি রহমান। স্বীকারোক্তি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-০৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ সদস্য ভবন, থানা- শেরেবাংলা নগর, ডিএমপি, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন।
পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে মোবাইল নম্বর ০১৭৫৫৩৫০৩৫০-এ ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর +৯১৭০৬৩২১৪৫৬৯ থেকে উজির মামার ০১৭১১-২৭২৯১২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি।
আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।