ভোলা আ”লীগে স্বার্থ নিয়ে কামড়া-কামড়ি-বহু হতাহত-পুলিশ বলছে নিহত-একজন
ভোলা সংবাদদাতা : ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিজয়ী এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের দাবি নিহত হয়েছে একজন ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
গ্রামবাসী বলছে, পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ একজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, ভোলার সদরের রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (দ্বিতীয় দফা) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান দলের বিদ্রোহী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।
এরপর মিজানুর রহমানের পক্ষের লোকজন রেজাউল হকের পক্ষের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করেন। আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজাপুরের জনতা বাজার ক্যাম্পের পুলিশ মামলার আসামি ধরতে জনতা বাজার এলাকায় যায়। পুলিশ রেজাউল হকের কর্মী মিজানুর রহমানকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ ক্যাম্পে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়।
তখন পুলিশ ক্যাম্প থেকে গুলি ছুঁড়লে সংঘর্ষ বাঁধে। গ্রামবাসী ইটপাটকেল ছুড়ে আর পুলিশ ৭০-৮০টি গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় পরাজিত মিজানুর রহমানের লোকজন। এতে পুলিশের ৫ সদস্যসহ দুই পক্ষের ৪০ জন আহত হন। আহতেরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রেজাউল হক পক্ষের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম দাবি করেন, তাদের পক্ষের তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এরা হলেন, রাজাপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেনের ছেলে নোমান জমাদ্দার (১৮), নজু জমাদ্দারের ছেলে এজাজুল (২২) ও রেজাউল। তাঁদের সবার বাড়ি রাজাপুর ইউনিয়নে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ বলেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় নোমান জমাদ্দার নিহত হয়েছেন। পুলিশের সদর সার্কেল এএসপি মামুনুর রশিদ বলেন, গ্রামবাসী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভেঙে অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চাইলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। শুনেছি একজন নিহত হয়েছেন। গ্রামবাসীর ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের পাঁচ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।