• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ভোট বানচালের সাহস নাই ওদের


প্রকাশিত: ১১:৫৪ পিএম, ১ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার


নৌকাই মানুষের উন্নতি এটা বানচালে নেমেছে বিএনপি জামায়াত : প্রধানমন্ত্রী-

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : নৌকাই মানুষের উন্নতি অগ্রগতি এটা বানচাল করতেই বিএনপি-জামায়াত অপকান্ডে নেমেছে। এই জালাও পোড়াও কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে সবাইকে ৭ তারিখ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের সাহস তাদের নেই। সোমবার রাজধানীর কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ প্রধান এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। এটা স্বাভাবিক। কারণ তারা ভোট চুরি করতে পারবে না। সেজন্য নির্বাচন বর্জন করেছে। ইলেকশন করবে না। বানচাল করবে। নির্বাচন বন্ধ করবে এত সাহস তাদের নেই।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে ওই জনসভায় শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ঢাকার ১৫টা রত্ন আপনাদের সামনে দিলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে। নৌকাই মানুষের উন্নতি দেয়। বাংলাদেশের জনগন নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে। নৌকায় ভোট দেবেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ পাবেন। ভোট দিয়ে জঙ্গি, অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে জবাব দেবেন।এসময় এবার যারা যারা নতুন ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথম যারা ভোটার তাদের আহ্বান জানাবো, নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাসী। তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। যেহেতু ধারাবাহিক ভাবে গণতন্ত্র আছে, মানুষের সেবা দেয়া বেড়েছে, মানুষের হৃদয় জয় করে ভোট পাই, ভোট চুরি করতে হয় না। যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসে তারাই ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে। এখন তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, ভোট চুরি করতে পারবে না বলেই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। রক্তের বিনিময়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, সে অধিকার নষ্ট করবে এতো সাহস বিএনপির নাই। বিএনপি দেশের সর্বনাশ করতে চায়।

‘বাস, গাড়ি, রেল পুড়িয়ে… ট্রেনে আগুন দিয়েছে। তারা মানুষের লাশ চায়। অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত দেশের সর্বনাশ করতে চায়। মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। এই নির্বাচনে মনে রাখতে হবে-বিএনপি-জামায়াত অগ্রিসন্ত্রাস করে ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। এর জবাব দিতে হবে। জবাব দেবেন ভোট দিয়ে। প্রত্যেকে আপনার ভোট আপনি দেবেন। ভোটকেন্দ্রে যাবেন।

বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু আমাদের সময়ে ধারাবাহিক গণতন্ত্র অব্যহত রয়েঝে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। মানুষের হৃদয় জয় করে ভোট পাই। ভোট চুরির দরকার হয় না। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। অনেক বুদ্ধিজীবী নানা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। তাদের কাজই বিভ্রান্ত করা। মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করেন। গণতন্ত্র থাকলে তাদের মূল্য থাকে না। অবৈধ সরকার থাকলে তাদের মূল্য থাকে।

বঙ্গবন্ধুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্রহাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি, আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। মায়ের স্নেহ পাইনি। বাবার স্নেহ পাইনি, ভাইয়ের স্নেহ পাইনি। কিন্তু পেয়েছি হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো।

তিনি বলেন, তবে দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অথচ আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচার সয়েছে, জেল খেটেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে। আগে নির্বাচন কমিশনকে বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন আমরা আইন করে স্বাধীন করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে ঢাকার বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আর কোনো সরকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষের উন্নতি হয়।
তিনি বলেন, আজ এটা প্রমাণিত সত্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হয়। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া নিজেদের উন্নয়ন করেছে। মানুষকে কিছু দেয়নি। তারা নিজেরা লুটপাট করে খেয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।