• শনিবার , ৪ মে ২০২৪

‘ভোটের আগেই হেরে গেছিস’-কুমিল্লা ১ আসনে প্রতিপক্ষ’র হাতাহাতি


প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ‘কটূক্তি’ করায় নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে প্রার্থিতা নিয়ে আপিল শুনানির মধ্যেই কুমিল্লার দুই প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচন কমিশনের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন।

 


স্টাফ রিপোর্টার : তোরা ‘ভোটের আগেই হেরে গেছিস’ বলায় দু’পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে ইসি ভবনের সামনে। ইসির সামনে এই হাতাহাতিতে দুই প্রার্থীর কয়েক সমর্থককে পাকড়াও করলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানান, এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ‘কটূক্তি’ করায় নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে প্রার্থিতা নিয়ে আপিল শুনানির মধ্যেই কুমিল্লার দুই প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচন কমিশনের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সবুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসানের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে প্লাবন এবং সানজিদ নামে দুজনকে আটক করেন। দুজনই বাদ পড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসানের সমর্থক বলে দাবি করেন। পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নাঈম। বৃহস্পতিবার তিনি আপিল শুনানির জন্য দলবল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নির্বাচন ভবনে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনও শুনানি শেষে নাঈমের আপিল নাকচ করে দিয়েছে। তিনি যখন নির্বাচন ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার সমর্থকদের সঙ্গে অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতির রূপ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য।
এ ঘটনার জন্য আব্দুস সবুরের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করে নাঈম হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তারা কমিশনের বাইরে বেরিয়ে এলে প্রতিপক্ষের কর্মীরা ‘নির্বাচনের আগেই হেরে গেছিস’ বলে কটূক্তি করে। তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ঝগড়ার সূচনা হয়।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. আহাদ আলীও বলেছেন, এক পক্ষ অন্য পক্ষকে কটূক্তি করায় নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুজনকে আটক করেছিল। পরে মুচলেকা রেখে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।