ভুল চিকিৎসায় নারীর স্তন কেটে ফেলা নিয়ে তুলকালাম শ্রীবরদীতে
বিশেষ প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার শ্রীবরদীতে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর স্তন কর্তনের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুক্রবার দুপুরে শেরপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী স্বপ্না বেগমের স্বামী ও মামলার বাদী সোলায়মান মিয়া।
তাদের অভিযোগ, সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও চিকিৎসকদের সংগঠন-বিএমএ’র নেতারা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন।
সোলায়মান বলেন, হুইপ, পিপি ও বিএমএ নেতারা তাকে ডেকে নিয়ে আট লাখ টাকার চেকের বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।প্রভাবশালী চক্রের এ হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান সোলায়মান, স্ত্রী স্বপ্না ও সোহেল হাসান শাহীন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ নভেম্বর শ্রীবরদী পৌর শহরের শান ক্লিনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম শরীফকে স্তনের ফোঁড়া দেখাতে যান স্বপ্না।
চিকিৎসক ক্যান্সারের কথা বলে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর রোগীর বাম স্তন কেটে ফেলেন। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, স্তনে কোনো ক্যান্সার ছিল না।
এ ঘটনায় স্বপ্নার স্বামী মামলা করলে ডা. শরীফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শেরপুর জেলায় সব ধরনের প্রাইভেট চিকিৎসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে বিএমএ।মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা মাত্র।
তিনি বলেন, বাদী ও বিবাদী পক্ষ আমার কাছে মিমাংসার জন্য এসেছিল, আমি তাদেরকে ডেকে আনিনি। এদিকে হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করলেও মামলা তুলে নিতে বাদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেন শেরপুর জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা।
তিনি বলেন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ডাক্তার শরীফ কারাগারে আটক রয়েছে। এ মামলার বাদী পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল। আপসের কথাবার্তা হলেও বাদীপক্ষের কারণে তা করা যায়নি।
তিনি জানান, ডাক্তার শরীফ মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সারা জেলায় চিকিৎসকরা সব ধরনের প্রাইভেট চিকিৎসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।দ্রুত দাবি পূরণ না হলে সরকারি পর্যায়েও সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ারও হুমকি দেন তিনি।