ভুভুজেলার বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ
বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলা নববর্ষ সামনে রেখে জঙ্গি ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে ভুভুজেলা বাঁশি তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মারুফ হোসেন সরদার আজ জাতিরকন্ঠকে বলেন, নববর্ষ সামনে রেখে আজ থেকে ডিএমপির বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে এ অভিযান শুরু হবে। বিশেষ অভিযান পরিচালনাসংক্রান্ত ২৪ ঘণ্টার তথ্য ছক প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনারের (অভিযান) কাছে পাঠানো হবে।
৫ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার দাপ্তরিক আদেশে বলা হয়, বাংলা নববর্ষের দিন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে জঙ্গি ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভুভুজেলা তৈরি ও বাজারজাত করার বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
সব ধরনের অবৈধ অস্ত্রধারী, অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ, আবাসিক এলাকা, বস্তি, মেস ও আবাসিক হোটেলে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে হবে। অপরাধীদের সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের অপরাধী চক্র সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এই বিশেষ অভিযানে প্রতিটি অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ এবং থানার সফলতার ক্ষেত্রে পুরস্কার ও ব্যর্থতার ক্ষেত্রে শাস্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দায়সারা গোছের উদ্যোগ কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তা বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনারের সিদ্ধান্তের এই অনুলিপি ইতিমধ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, ডাকাতি, গোলাগুলি, খুনসহ ইভ টিজিংয়ের মতো অপতৎপরতা যাতে না ঘটতে পারে, সে জন্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।