ভাড়াটে খুনীরা বেপরোয়া খুলনায়-ডনকে খুনের চেষ্ঠা-নিহত পথচারি
খুলনা প্রতিনিধি : ভাড়াটে খুনীরা বেপরোয়া খুলনায় । দুর্বৃত্তদের গুলি থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়া খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন বলেছেন, ‘এর আগেও আমাকে হত্যার উদ্দেশে দুই বার হামলা চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। শনিবার দুপুরে নগরীর ব্যস্ততম দোলখোলা শীতলাবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা ডনকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করে। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী শিপ্রা রানী কুণ্ডু (৫০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা ডন সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশে বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি ভাংচুর করে চলে যায়। এছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরীর বাগমারা গফফারের মোড় এলাকায় তাকে হত্যার উদ্দেশে তার ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। বোমাটি বিস্ফোরিত হলেও তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
ডন বলেন, শনিবার সকাল ১১টার দিকে শীতলাবাড়ি এলাকায় মোটর সাইকেলে বসে সেলিম নামে এক যুবকের সাথে কথা বলছিলাম। এ সময় ৬ দুর্বৃত্ত দুটি মোটরসাইকেল করে এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। তাদের মুখ লাল কাপড়ে বাধা ছিল। তারা অস্ত্র বের করে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করলে সেলিম আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর আমি দৌড় দিলে আরেকটি গুলি ছোড়া হয়। সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শিপ্রা নামে এক নারীর বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হয়। পরে আমি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই।
স্থানীয়রা জানায়, শিল্প ব্যাংকের ডিজিএম চিত্তরঞ্জন কুণ্ডুর স্ত্রী শিপ্রা কুণ্ডুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অপারেশন থিয়েটারে তিনি মারা যান।এ ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে প্রেস ক্লাবে সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা ডন এলাকার ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সে কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে।’ তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। মিজান বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা কেউই নিরাপদ নই। আমি নিজেও নিরাপদ নই। কারণ যখন তখন আমাকে বাইরে বের হতে হয়।’