• শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাসানচরে চলবে ক্যাসিনো জুয়া-


প্রকাশিত: ১২:৫৪ এএম, ১০ অক্টোবর ১৯ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : এবার ভাসানচরে চলবে ক্যাসিনো জুয়া-! তবে এজন্য শর্ত পালন করতে হবে ক্যাসিনো মালিক ও জুয়ারীদের। এতথ্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর । তিনি বলেছেন, ক্যাসিনো বা জুয়ার জন্য দেশের একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ কথা হাসতে হাসতে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত নোয়াখালীর ভাসানচরের এক পাশে জুয়াড়িদের জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথা বলেন। ক্যাসিনো ও জুয়ার জন্য প্রয়োজনে নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স দেওয়া হবে, তাতে রাজস্ব বাড়বে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যাস যদি বদভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, এই বদভ্যাস যাবে না। তার চেয়ে এটা করলে আমরা (সরকার) টাকা পাবো।

বুধবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি মুখে হাসি রেখে জুয়াড়িদের উপহাস করে এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ ও ভারত সফরের বিষয়ে অবহিত করতেই ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।তিনি বলেন, ‘যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে–তাদের কেউ কেউ হয়তো দেশ থেকে ভেগে গেছে। এখানে সেখানে খেলার জায়গা খোঁজাখুঁজি করছে। আমি বলেছি, একটা দ্বীপ মতো জায়গা খুঁজে বের করো, সে দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেবো। দরকার হলে ভাসানচর বিশাল দ্বীপ, এর একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে এই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করে দেবো। সবাই ওখানে চলে যাবে।’ এ সময় তাকে মৃদু হাসতেও দেখা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে বলছি, অভ্যাস যদি বদভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, এই বদভ্যাস যাবে না, বারবার খোঁজাখুঁজি করতে হবে। তাই বারবার খোঁজাখুঁজি না করে একটা জায়গা ঠিক করে দেবো। ভাসানচর খুব বড় জায়গা। অসুবিধা নাই। ১০ লাখ লোকের বসতি দেওয়া যাবে। তার একটা এলাকা না হয়… কারা কারা (ক্যাসিনো) করতে চায়, করতে পারবেন। লাইসেন্স নিতে হবে, ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর ওখানে গিয়ে কারা কারা করবেন করেন, আমার কোনও আপত্তি নাই।

তিনি বলেন, এখন যারা লুকায় চুরায় এটা সেটা করে, তারা সেখানে গিয়ে খেলতে পারবেন। কারা কারা করতে চায় নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স নিতে হবে। ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে সবাই মিলে করেন, আমাদের কোনও সমস্যা নেই। সেই ব্যবস্থা করে দেবো। এতে আমরা ট্যাক্স পাবো, টাকা পাবো।প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সাংবাদিক সারির কয়েকজন হেসে উঠলে তিনি বলেন, আমি বাস্তবতাটাই বলছি। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও হেসে ফেলেন।