• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভালবাসার বলিদান-সিডনিতে!


প্রকাশিত: ৫:৪৩ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২৮ বার

সিডনী থেকে রহিম খান  :  অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাসা থেকে একজন বাংলাদেশী নারী ও তার বিদেশী স্বামীর লাশ উদ্ধার 1করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে এক আত্মীয় তাদের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। ওই দম্পতির লাশের কয়েক মিটার দূরেই ঘুমিয়ে ছিল তাদের চার বছরের মেয়ে।

বাংলাদেশী ওই নারীর নাম তাসমিন বাহার। এছাড়া তার বা তার স্বামী সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানা যায়নি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তাও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানায়, পুলিশ হত্যা ও আত্মহত্যা দুই বিষয় সামনে রেখে ঘটনাটি তদন্ত করছে।দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ অস্ট্রেলিয়া ও নাইন নিউজ জানায়, পশ্চিম সিডনির স্মিথফেল্ডের হর্সলি ড্রাইভে ওই দম্পতির বাসা।

প্রতিবেশীরা জানান, তারা বেশ সুখেই ছিলেন। কিন্তু এক মাস আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর বাংলাদেশী তাসমিন চার বছরের মেয়েকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান। রোববার বাসার সামনে তার গাড়ি দেখে তারা অবাক হন। এর কিছু সময় পর ওই দম্পতির এক আত্মীয় তাদের বাসায় গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।তাদের লাশের কয়েক মিটার দূরেই চার বছরের মেয়েটি ঘুমিয়ে ছিল। পরে পুলিশ লাশ ও মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, এ ঘটনাকে ‘হত‌্যার পর আত্মহত‌্যা’ বলে ধারণা করছে স্থানীয় পুলিশ। পরিবারের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, ছয় বছর একসঙ্গে থাকার পর কিছুদিন আগে তাসমিন বাহার নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি তরুণীর সঙ্গে তার সঙ্গী ডেভ পিল্লাইয়ের (৪০) বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মেয়েকে নিয়ে অন‌্য বাসায় চলে গিয়েছিলেন তাসমিন।

কিন্তু বাবা দিবসে মেয়েকে তার বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দিতে স্মিথফেল্ডের ওই বাড়িতে এসেছিলেন তাসমিন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, তাসমিনের মৃত‌্যুর খবর পেয়ে তার বোন শারজিন বাহার নিউ ইয়র্ক থেকে রওনা হচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাবেন। বোনের মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চান বলেও অস্ট্রেলীয় পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন শারজিন।

তিনি বলেছেন, পিল্লাই মারধরের হুমকি দেওয়া শুরু করায় মেয়েকে নিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাসমিন। বিষয়টি তিনি পুলিশকেও জানিয়ে রেখেছিলেন। আমি ওকে বলেছিলাম ওই বাড়িতে আর না যেতে। কিন্তু ‘ফাদারস ডে’ বলে ও মেয়েকে নিয়ে সেখানে গেল। ও চাইছিল ডেভ তার মেয়েকে দেখুক। তাসমিনের খালাতো বোন সিফাত শারমিন রুপন্তি জানান, ডেভ পিল্লাই যে হুমকি দিচ্ছিলেন, সে কথা তাকেও বলেছিলেন তাসমিন।

রুপন্তির দেওয়া তথ‌্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ডিগ্রি নেন তাসমিন। তবে বাংলাদেশে তাদের ঠিকানা বা পরিবারের কোনো পরিচয় সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে প্রকাশ করা হয়নি।
সিডনির পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তারা অন‌্য আর কাওকে সন্দেহ করছে না। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।