• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে শিশু ধর্ষণকারীর সাজা মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত: ৭:১৮ পিএম, ২১ এপ্রিল ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  ভারতে শিশু ধর্ষণ মামলা সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।আজ image-134887-1524314910শনিবার দেশটির রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাশ হয়। মন্ত্রিসভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় মুসলিম শিশু আসিফা ধর্ষণকাণ্ডের পর ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে নির্ধারিত আইনের পরিবর্তন দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। গত সপ্তাহে তিনি ধর্ষণের বিষয়ে নির্ধারিত আইন পরিবর্তনের একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমে এই প্রস্তাব তোলা হয়।আজকের মন্ত্রিসভায় মানেকা গান্ধীর ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে নির্ধারিত আইন পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার পর ১২ বছরের নিচে শিশুদের ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রিসভা।

দেশটিতে বর্তমানে ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন (পকসো)-২০১২’ অনুযায়ী,১২ বছরের নিচে কোনো শিশুকে যৌন নির্যাতন কিংবা ধর্ষণ করা হলে, একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কমপক্ষে সাত বছরের শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে এই আইনটি সংশোধন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে এতদিন ধরে আইনের সংশোধন না হলেও জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া কাণ্ডের পর নতুন করে আইন সাজিয়েছে ভারত সরকার।উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের হিন্দু অধ্যুষিত কাঠুয়া জেলার যাযাবর বাখারওয়াল মুসলিম পরিবারের সদস্য আসিফা বানু গত ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ঘোড়া চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর ২৩ জানুয়ারি তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করে। তখনই এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ শুরু হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে জম্মুর আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে আইনজীবীদের বাধায় তা ব্যর্থ হয়। ওই চার্জশিটে লেখা হয়েছে, ‘দিনের পর দিন মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় আসিফাকে। শারীরিক নির্যাতন করা হয়। আর শেষে খুন করা হয়।’ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল আসিফাকে। মাথায় পাথর দিয়ে দু’বার আঘাতের চিহ্নও মেলে ময়নাতদন্তে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, চারজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন কিশোর রয়েছে।