ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির দ্বার খুলে দিচ্ছে সরকার
অবশেষে ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির দ্বার খুলে দিচ্ছে সরকার। খুব শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র। বর্তমানে প্রস্তাবটি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্ত্রী অনুমোদন দিলে রপ্তানির বিষয়টি গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করবে সরকার। নতুন প্রস্তাবে ইলিশের দাম এক থেকে দুই ডলার বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রস্তাবিত দাম কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়, দাম আরো বাড়ানো দরকার।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতের অনুরোধে সরকার ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই থেকে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় হাই কমিশনার গত ২৩ জানুয়ারি নতুন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সঙ্গে দেখা করে ইলিশ রপ্তানিতে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন। তবে এর আগে থেকে ভারত নানাভাবে ইলিশ রপ্তানির দ্বার খুলে দিতে বলে আসছিল।
সূত্র বলছে, সরকার ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশ রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সাত ডলার বা প্রায় ৫৬০ টাকা। এক কেজির ওপর থেকে দেড় কেজির কম ওজনের ইলিশ রপ্তানিতে পাওয়া যাবে ৯ ডলার বা ৭২০ টাকা। আর দেড় কেজির ওপরে হলে রপ্তানি মূল্য হবে ১৪ ডলার।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির পক্ষে যুক্তি হিসেবে দেখাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকায় ইলিশ চোরাই পথে পাচার হচ্ছে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের ইলিশ মাছের বাজার অন্য দেশের দখলে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় সীমিত হয়ে পড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এর আগে ২০০০ সালে সবশেষ ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয়। তখন ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশ রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ছয় ডলার, যা প্রায় ৪৮০ টাকা। এক কেজির ওপর থেকে দেড় কেজির নিচের ইলিশ রপ্তানিতে পাওয়া যেত আট ডলার বা ৬৪০ টাকা। আর দেড় কেজির ওপরে হলে রপ্তানি মূল দাঁড়াতো ১২ ডলার।