• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভারতীয় সেনা বিমানের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি


প্রকাশিত: ১১:৩৫ পিএম, ২২ জুলাই ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৬৬ বার

বিবিসি অবলম্বনে সাইফুল বারী মাসুম  :  ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান 111বঙ্গোপসাগরের ওপর নিখোঁজ হয়ে গেছে।এএন ৩২ বিমানটি আজ শুক্রবার সকালে চেন্নাইয়ের কাছে তাম্বারম ঘাঁটি থেকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে রওনা হয়েছিল।

আন্তোনভ ৩২ বিমানটিতে ২৩ জন যাত্রী আর ৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন বলে বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।বিমানটির স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ৮.৪৫-এ বিমানটির সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

যাত্রীদের মধ্যে সেনা, বিমান আর উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে কর্মরত কয়েকজন অসামরিক ব্যক্তিও বিমানটিতে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।নৌ, বিমান আর উপকূলরক্ষী বাহিনী সম্মিলিত ভাবে একটি বড়সড় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সমুদ্রে।অভিযান শুরুর গোড়ার দিকে বিমান বাহিনীর দুটি বিমান আর নৌ বাহিনীর চারটি জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিল। কিন্তু পরে বিমানবাহিনীর মোট চারটি বিমানকে কাজে লাগানো হয়।

কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় বিমান থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালানো আর সম্ভব হয় নি।তাই এখন উদ্ধারের মূল কাজটা করছে নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ।একটি সাবমেরিনকেও পাঠানো হচ্ছে যে এলাকায় বিমানটিকে শেষবার রেডারে ধরা পড়েছিল, সেই এলাকায়।

এই ধরণের পরিবহন বিমান এএন ৩২ চালিয়েছেন, এরকম এক বিমানবাহিনীর চালক বিবিসিকে জানিয়েছেন ইএলটি নামে একটি যন্ত্র থাকে – ইমার্জেন্সি লোকেটার ট্রান্সমিটার, যেটা বিমান ভেঙ্গে পড়লে সিগন্যাল পাঠাতে থাকে স্যাটেলাইটে, যাতে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু সেই স্যাটেলাইট সিগন্যাল সঙ্গে সঙ্গেই খুঁজে নাও পাওয়া যেতে পারে।

কীভাবে নিখোঁজ হল বিমানটি

বিমানবাহিনী বলছে সাড়ে আটটায় তাম্বারম ঘাঁটি থেকে ওড়ার ১৬ মিনিটের মাথায় তার সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়। কিন্তু বিমানটি রেডারে আরও প্রায় আধঘন্টা ছিল – ৯টা বারো মিনিটে সেটি রেডার থেকেও হারিয়ে যায়।আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা হয় যদি বিমানটি সময়মতো পোর্ট ব্লেয়ারে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে পৌঁছয় – এই আশায়।

যতক্ষন রেডারে ছিল তার মধ্যে বিমানটি ২৫০ থেকে ২৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।এএন ৩২ বিমানগুলিতে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ভেস্ট তো থাকেই – সঙ্গে ডিঙি নৌকাও থাকে – যাতে জলের ওপরে ভেঙ্গে পড়লে সেই ডিঙি নিয়ে ভেসে যেতে পারেন যাত্রীরা। একেকটি ডিঙ্গিতে সাতজন করে যাত্রী বহন করতে পারে।
কারা যাত্রী

যাত্রীদের সকলেই সামরিক বাহিনীগুলির সদস্য।

ছজন ক্রু সদস্যের মধ্যে তিনজন বিমানবাহিনীর অফিসার ছিলেন আর যাত্রীদের মধ্যে এক অফিসার সহ মোট এগারোজনও বিমানবাহিনীর সদস্য।দুজন সেনাবাহিনীর সদস্য আর একজন উপকূলরক্ষী বাহিনীর নাবিক। বাকিরা নৌবাহিনীতে কর্মরত অসামরিক ব্যক্তি ছিলেন।