ভারতকে হারাতে মুখিয়ে টাইগাররা

শফিক রহমান : এবার ভারতকে হারানোর পালা টাইগারদের! ভারত সর্বশেষ হেরে খেলতে নামছে বাংলাদেশের সঙ্গে। আর বাংলাদেশ জিতে খেলতে নামছে ভারতের সঙ্গে। কাজেই বাংলাদেশেই এগিয়ে! যদিও এ নিয়ে পরিসংখ্যান বিতর্ক থাকতে পারে; কিন্তু সাকিবরা জ্বলে উঠলে সব ভেস্তে যেতে বাধ্য! অভিজ্ঞ জনরা বরছেন কাল সাকিবরা সবাই খেললে জিতবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে বুধবার ভারতের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি গুরুতত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পথে এগিয়ে যেতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তবে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে ভারত। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১১টি। বাংলাদেশ মাত্র ১টি জয়েই থেমে আছে। বাকি দশটিতেই জিতেছে ভারত। তাইতো সাকিব মঙ্গলবার প্রিভিউ-তে অ্যাডিলেড ওভালের প্রেস কনফারেন্স রুমে বসে বললেন, পরবর্তী টার্গেট দুটো ম্যাচ খুবই ভালোভাবে খেলা। যদি কোনো ম্যাচ জিততে পারি সেটা আপসেট হিসেবেই গণ্য হবে। এবং সে আপসেট টা যদি করতে পারি তাহলে আমরা খুশি হব। আর না করতে পারলেও খুব বেশি কিছু একটা বলার নেই।
সাকিব বলেন, বাকি দুই দল যদি দেখেন তারা আমাদের থেকে অবশ্যই ভাল। বাট আমরা যদি ভালো খেলি আমাদের যদি দিন থাকে, কেন জিততে পারবো না। এই বিশ্বকাপে আমরা দেখেছি আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানকে জিম্বাবুয়ে হারিয়ে দিয়েছে। ওরকম একটা রেজাল্ট হলে আমরা অবশ্যই খুশি হব।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে চাপে আছে ভারতও। এ অবস্থায় তাদেরও জয় চাই। বিরাট কোহলিরা একটা জয়ের জন্য কতোটা মরিয়া সেটা আঁচ করতে পারছেন সাকিব। বাঙলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভারতীয় দল খুবই ভালো একটা বোলিং অ্যাটাক। আপনি যদি দেখেন প্রতিটা ম্যাচই তারা ১৬০-৭০ মধ্যেই প্রতিটা দলকে বেঁধে রেখেছে।
যারা বেশি করছে তারাও এরকম করছে, যারা কম করছে তারাও এর থেকে ১০-১৫ রান কম করছে। এরকম একটা অবস্থায় আমার কাছে মনে হয় আমাদের খুবই ভালো খেলতে হলে ভারতের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে ভালো করতে হবে। কেননা তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে আসলে।
অনেকের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৫ সালের সেই ম্যাচটির কথা। ঐতিহাসিক সেই লড়াইটির কথা! যেখানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। তাইতো মঙ্গলবার বৃষ্টিস্নাত দিনে অ্যাডিলেডে পা রেখে কেমন যেন স্মৃতি কাতর হয়ে উঠলেন সাকিব আল হাসান। যদিও ১৫ রানে জয়ী সেই দলটার সদস্য হলেও সাকিবকে সেই ম্যাচটাতে তেমন চেনা যায়নি। দল জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শতরান, মুশফিকুর রহিমের ৮৯ আর রুবেল হোসেনের আগুন ঝরা বোলিংয়ে (৪/৫৩)। সেই সাফল্য ফের জাগিয়ে তুলছে বাংলাদেশ দলকে। এবার টি-টোয়েন্টি। আগের সেই দলটার মূল কারিগর মুশফিক, রিয়াদ কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজা কেউ অবশ্য দলে নেই। তারপরও বুধবার এই অ্যাডিলেডেই যখন ম্যাচটা তখন হাসিমুখেই মাঠে নামতে তৈরি সাকিব।
ওদিকে ভারতও আছে চাপে। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে কিছুটা কোণঠাসা বিরাট কোহলিরা। এ অবস্থায় তাদের সামাল দেওয়াটা সহজ হবে না বলেই মনে করেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমি বিশ্বকাপের আগের প্রেস কনফারেন্সেও বলেছি প্রতিটা ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা ম্যাচেই আমরা একই এপ্রোচ নিয়ে খেলতে চাই। কোন দেশের সাথে কোন অবস্থায় খেলা হচ্ছে এগুলো আমরা চিন্তা করতে চাই না। আমরা সেটা উপভোগ করতে চাই। আমাদের একই পরিকল্পনা একই।