ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
জয়পুরহাট থেকে আলাল আহমেদ : জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন- ভাদসা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) ও তার সহযোগী মুনির হোসেন (৩২) কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন, এএসআই মশিউর রহমান ও কনস্টেবল মোস্তাফিজ আহত হয়েছেন। তাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জয়পুরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি- সার্কেল)অশোক কুমার পাল জাতিরকন্ঠকে জানান, নিহত আজাদের গ্রামের বাড়ি কোঁচকুড়ি গ্রামে আসামিরা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবরে রাতে সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে যায়।
তারা গোপালপুর বাজার অতিক্রম করে কোঁচকুড়ি সড়কে উঠামাত্র আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।পরে গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনের লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অশোক কুমার পাল।
গত ৩১ মার্চের নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ (৪৫) জেলার সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জয় পান।
এরপর গত ৪ জুন রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জয়পুরহাট সদর উপজেলার গোপালপুর ও কোচকুঁড়ি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় একে আজাদকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় আজাদকে বাঁচাতে গেলে দুর্বৃত্তরা নয়ন কুমার বর্মন নামে এক পথচারীকেও গুলি করে।
তাদের দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজাদকে ৫ জুন ভোররাতে রাজধানীর মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।