• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চোর ধরছে দুদক


প্রকাশিত: ৮:২৯ পিএম, ২৩ জুলাই ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার

 

 

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি : প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরির তথ্য পেয়েছে দুদক। তারা বলেছে চুরির সত্যতা পেয়ে তারা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।আজ সোমবার বিকেলে বিড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক মো. বেনজির আহমেদ।আজ বিকেল ৩টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লার হিসাবের গড়মিলের ঘটনায় বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল পরিদর্শনে যায়। ওই দলটি প্রায় দুই ঘণ্টা খনির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে।

খনি পরিদর্শন শেষে বাইয়ে এসে দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক মো. বেনজির আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু তথ্য নিয়েছি আমরা এবং রেকর্ডপত্র ফটোকপি নিয়েছি। আমারা খনির কোল ইয়ার্ড (যেখানে কয়লা রাখা হয়) পরিদর্শন করেছি। বাস্তবে কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্র্রিক টন কয়লা থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে খুব বেশি হলে দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা হবে। আমারা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট করেছি। এ বিষয় দুদক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও বদলিকৃত কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। দুদকের প্রধান কর্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবেন।আরেক প্রশ্নের জবাবে বেনজির আহমেদ বলেন, কোল ইয়ার্ডের হিসেব মতে, দুর্নীতির একটি বিষয় চলে এসেছে। তবে সার্বিক রেকর্ডপত্র না দেখে এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাবে না। আমরা প্রধান কর্যালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে এসেছি।

অপরদিকে বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাকিম সরকার জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে তাপবিদুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যেতে পারবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছে, এক মাসের মধ্যে কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।কয়লার সংকটে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রের বিদুৎ উৎপাদন বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিদুৎ গ্রাহক পর্যায়ে। এলাকায় ইতিমধ্যে লো-ভোল্টেজ ও লোড শেডিং শুরু হয়েছে।

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলছে, কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির কারণে বিদুৎ ঘাটতি হচ্ছে এবং এর খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে আজ বিকেলে কয়লা চোরদের চাকুরিচ্যুতসহ তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা কারার দাবিতে ফুলবাড়ী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।