• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ব্রিটেনের ডেইলি মেইল-টেলিগ্রাফে উস্কানি-‘বাংলাদেশে বিরোধীদের দমনে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদেশি সাহায্য’


প্রকাশিত: ৮:২৭ পিএম, ৭ মার্চ ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৮ বার

icai report-অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে ব্রিটিশ সরকারের দেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড সহায়তার অপব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা সেবা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম গৃহীত হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা কর্মপদ্ধতি উন্নয়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।কিন্তু পুলিশ ও গোয়েন্দারা এ সাহায্য তাদের সরকারি দলের প্রতিপক্ষকে দমন-পীড়নে ব্যবহার করে থাকতে পারে।ব্রিটিশ সরকারের সহায়তাবিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অন এইড ইমপ্যাক্ট (আইসিএআই) এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ জানিয়েছে।

যদিও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, তহবিল অপব্যবহারের কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। ব্রিটেনের ডেইলি মেইল ও টেলিগ্রাফে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।এতে বলা হয়, ব্রিটিশ সরকার মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত করা, ফোনকলে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারির প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশকে। বাংলাদেশী পুলিশ ও গোয়েন্দারা এ প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের খুঁজে বের করে কারান্তরীণ করে থাকতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইসিএআই।
সংস্থাটির এ উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দফতর (ডিএফআইডি) প্রাথমিকভাবে বলেছিল, কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অফিসারা রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত নন।

আইসিএআই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আমাদের ডিএফআইডি এবং ইউএনডিপি উভয়ই জানিয়েছে যে, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের রাজনীতিকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রমাণ দেখেছি যে, বিরোধী তৎপরতার সময়গুলোতে কারাগারে কয়েদিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবনতিশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সহায়তায় গঠিত গোয়েন্দা দক্ষতা বিরোধী দলগুলোকে পর্যবেক্ষণ এবং দমন-পীড়নে ব্যবহার করা হতে পারে।কমিশনের এ রিপোর্টের জবাবে ৪ মার্চ ডিএফআইডি বলেছে, এসব অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং তারা জানতে পেরেছে যে, ব্রিটিশ সহায়তা ব্যয় এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নে যোগসূত্রের কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ নেই।