ব্যাংক তেলেসমাতিতে-কাজের বুয়া ১০ হাজার ক্রোড়পতি!
মিরা নায়ার দিল্লী থেকে : ব্যাংক তেলেসমাতি’র জেরে কাজের বুয়া ১০ হাজার ক্রোড়পতি বনে গিয়েছিলেন।কিন্তু শেষমেষ ওই কাজের বুয়াই ব্যাংকে ধরিয়ে দিলেন তাদের ভুলের তথ্য।এ নিয়ে তোলপাড় চলছে ইন্ডিয়ায়। জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি কাজ করে কোনো রকমে দিন পার করেন তিনি।
আবার তিনিই নাকি বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা!বিল গেটসের সঞ্চিত সম্পত্তির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। আর কানপুরের গৃহপরিচারিকা ঊর্মিলা যাদবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে, ৯,৫৭১,১৬,৯৮,৬৪৭ টাকা!
অবশ্য বাস্তবে ঊর্মিলা এত টাকা জমাননি। ব্যাংকের একটা ‘ছোট্ট’ ভুলে তিনি ক্ষণিকের জন্য বিত্তবান হয়েছিলেন।
ঊর্মিলার অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ দেখে চোখ কপালে উঠেছিল ব্যাংক অফিসারদের। সঙ্গে সঙ্গেই তার বুঝতে পারেন, বড়সড় ভুল হচ্ছে কোথাও।
ভুল শুধরোতে সময় লাগল ঘণ্টা তিনেক। হ্যাঁ, ওই তিন ঘণ্টার জন্যই ভাগ্যবতী হতে পেরেছিলেন তিনি।জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘জন ধন যোজনা’য় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় ২০০০ টাকা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ঊর্মিলা।
হঠাৎই দেখেন তার মোবাইলে ব্যাংকের একটি খুদেবার্তা এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিরাট অংকের টাকা জমা পড়েছে তার অ্যাকাউন্টে।কিন্তু কীভাবে এত টাকা জমা হল? কে জমা দিল? ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না ঊর্মিলা।সঙ্গে সঙ্গে পাসবই নিয়ে ব্যাংকে ছোটেন তিনি। দেখা যায়, সত্যিই এই বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে তার অ্যাকাউন্টে।
কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল তা ভেবে তখন দিশেহারা ব্যাংকের পদস্থ কর্তারাও। ঊর্মিলার অ্যাকাউন্টে এই অর্থের উৎস নিয়ে তদন্তও শুরু করে এসবিআই।শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, সার্ভারের গোলযোগেই ওই বিপুল পরিমাণে অর্থ জমা পড়েছে তার অ্যাকাউন্টে। এই ঘটনার জেরে তিন ঘণ্টার জন্য বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা হয়ে উঠেছিলেন ঊর্মিলা দেবী।
কিন্তু হঠাৎই অত টাকা পেয়ে কেমন লেগেছিল তার। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ঘোমটার আড়াল থেকে ঊর্মিলার উত্তর, ‘টাকার জন্যই মানুষ খাটে। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে পাওয়া এই অর্থের কোনো মূল্য নেই আমার কাছে।’