ব্যাংক খোলা থাকবে ৪ জুলাই পর্যন্ত-এফবিসিসিআইকে গভর্নরের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিনিধি : এফবিসিসিআইয়ের অনুরোধে ২ থেকে ৪ জুলাই শুধুমাত্র নগদ লেনদেনের জন্য ব্যাংক খোলা রাখার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।সকালে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মুখপাত্র এএফএম মোকাম্মেল হক জাতিরকন্ঠকে এ খবর নিশ্চিত করেন। এফ এম মোকাম্মেল হক বলেন, “ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যে বৈঠক হয়, সেখানে গভর্নর ২, ৩ ও ৪ জুলাই বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।”
এ ব্যাপারে আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, নগদ লেনদেনের অসুবিধার কারণে এ আবেদন করা হয়েছে। কারণ, এই সময় মানুষের হাতে টাকা থাকলে চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি ও লুটতরাজ বেড়ে যেতে পারে। তাই গভর্নর আজ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এ বিষয়ে পুনঃসার্কুলার দেবেন।
এর আগে ঈদের আগে ৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার দাবি জানায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই)। সোমবার এ দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় সংগঠনটি।
চিঠিতে ৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার পাশাপাশি ঈদের দুদিন পরই ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানানো হয়। এর আগে রোববার লাইলাতুল ক্বদরের পরদিন ৪ জুলাই সোমবার সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে ২ ও ৩ জুলাই তৈরি পোশাক শিল্পঘন এলাকায় ব্যাংকগুলোর শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৬ জুলাই বুধবার ঈদ ধরে ৫, ৬ ও ৭ জুলাই রোজার ঈদের ছুটি নির্ধারিত আছে।
আর ৩ জুলাই রোববার লাইলাতুল কদরের ছুটি। তার আগে দুদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় কার্যত ছুটি শুরু হচ্ছে ১ তারিখ থেকেই। আবার ঈদের ছুটি শেষে ৮ ও ৯ জুলাই শুক্র ও শনিবার। ঈদের পর ১০ জুলাই প্রথম অফিস করবেন সবাই।সার্কুলারে আরও জানানো হয়, সরকারি অফিসের মতোই এবার ১৬ জুলাই শনিবার সব ব্যাংকও খোলা থাকবে।