ব্যাংকের সুদ লাখে ১২শ’ থেকে নেমেছে ৫শ’ টাকায়
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য থাকায় আমানত সংগ্রহে আগ্রহ নেই ব্যাংকগুলোর। তাই ব্যাংকে টাকা রেখে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়েও কম হারে সুদ পাচ্ছে আমানতকারী। মাত্র পাঁচ শতাংশ সুদের টাকা রাখতে হচ্ছে আমানতকারীদের। এতে সঞ্চয়পত্রে চাপ বাড়ছে। তাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকের খরচ কমাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
অনেকেই সুদের হার কমার ফলে স্থায়ী আমানত ভাঙ্গার কথা ভাবছেন। পাঁচ বছর আগেও, এক লাখ টাকা ব্যাংকে রেখে মাসে সুদ পাওয়া যেত ১২শ’ টাকা। আর এখন তা নেমে এসেছে ৫শ’ টাকায়। তবে এবিষয়ে চিন্তিত নয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কারণ ঋণ দিতে অতিরিক্ত তারল্য আছে সোয়া এক লাখ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরেছে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ। এই হার সেবা ও নিত্যপণ্য কিনতে ব্যক্তির যে ব্যয় হবে, তা আমানতের সুদের চেয়েও কম। ব্যাংকের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা গেলে আমানতকারী সুফল পাবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এদিকে, বেশি সুদের কারণে সঞ্চয়পত্র কেনার দিকে ঝুঁকছে সাধারণ গ্রাহক। এতে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। নিট বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।