ব্যাংকের টাকা কাটা থেকে শুরু- ৯০ ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে
সংসদ রিপোর্টার : ঢাকার ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন, নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকায় ১৮টি সংসদীয় আসন রয়েছে, এর মধ্যে (আওয়ামী লীগ) ১টা আসন পাবে কি না আমার সন্দেহ আছে।
রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৯০ ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে। এটা কেউ এনালাইসিস করে না। কিন্তু মুখ দিয়ে কেউ কিছু বলে না ঠিকউ। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটা বুঝার চেষ্টা করেন।
শওকত চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এমপিরা কি অবস্থায় পড়ি? জনগণ মনে করে আমাদেরকে মন্ত্রী টাকা দিছে আমরা মেরে খাইছি। কিন্তু আমরা সেই টাকা পাই না। কাজ করতে পারি না। উনারা বলে, দেয় না। এটা কোন কথা? আমাদেরকে বিইজ্যত করার কোনো অধিকার কি তাদের আছে? আমরা বিইজ্যত হয়ে যাই জনগণের কাছে। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য অনুরোধ জানান তিনি।
শওকত চৌধুরী বলেন, একটু আগে এখানে ত্রাণমন্ত্রী মহোদয় ছিলেন। আমি বহুদিন যাবত চেঁচাচ্ছি, এ জাতীয় সংসদে। সৈয়দপুরে স্মৃতিসৌধের অর্ধেক কাজ করেছি। বধ্যভূমির ৯০ ভাগ কাজ করেছি। উনি কথা দিছিলেন এই পবিত্র সংসদে। উনাকে পাওয়াও যায় না, প্রজেক্টে বরাদ্দও পাইনা। এইসব কি? যেটা বলব সেটা করব কিন্তু এই তামাশা কেন। জাতির সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে তামাশা কিসের? জাতীয় সংসদ কী তামাশার জায়গা? এখানে বললাম আর সচিবালয়ে গিয়ে ভুলে গেলাম?’
প্রস্তাাবিত বাজেটের টাকা সুষম বণ্টন হয়নি বলেও অভিযোগ করে শওকত চৌধুরী বলেন, বাজেটের টাকা সারাদেশে সুষম বন্টন হওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় সুষম বন্টন? রংপুর বিভাগে বাজেট নেই। কোন মেগা প্রজেক্ট নেই। কী কারণে? রংপুর বিভাগে এত চাল হয় এত কিছু হয়, আমরা কিন্তু এখন মফিজ নেই। রংপুর বিভাগ দিনদিন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে।