• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বেসিক ব্যাংকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটে ১৮ মামলা


প্রকাশিত: ৪:৩৪ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৮ বার

Bachuএস রহমান .ঢাকা:  বেসিক ব্যাংকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের দায়ে অবশেষে মামলা দায়ের করল দুদক।রাজধানীর তিনটি থানায় মোট ১৮টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থানায় ৮টি, মতিঝিল থানায় ৫টি এবং পল্টন থানায় ৫টি মামলা করা হয় বলে জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।এদিকে দুদক মামলা দায়ের করলেও এবারও পার পেয়ে গেছেন সেই বাচ্চু।

মামলাগুলোতে ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ফজলুর রহমান, সাবেক ডিএমডি কনক কুমার পুরকায়স্থ, প্রাক্তন এমডি সাজেদুর রহমান, ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক এজিএম আনিসুর রহমান চৌধুরি, সাবেক ব্যাবস্থাপক মোহাম্মদ আলি, গুলশান শাখার ব্যাবস্থাপক শিপার আহমেদসহ ব্যাংকের দিলকুশা, শান্তিনগর ও গুলশান শাখার সাবেক ও বর্তমান মিলে ২৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তাদের বাইরে আরও ৭৬ জনকে মামলায় আসামি করেছে দুদক।

প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে মামলা করল দুদক। এর আগে ১১ মার্চ বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৫৪টি মামলার অনুমোদন দিয়েছিল কমিশন।ব্যাংকের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তে সংসদীয় কমিটির অসন্তোষের পর দুদক ওই মামলাগুলো করার কথা জানিয়েছিল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, “আপাতত ১৮টি মামলা করা হল, বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে।”

বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।অনিয়মের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে গত বছর অপসারিত হন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম। ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়। এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু।

এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে ঋণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জাড়িত থাকার দায়ে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।বেসিক ব্যাংকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর ২০১০ সাল থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম ছিলেন প্রাথমিকভাবে এই অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

প্রাথমিক অনুসন্ধানেই ‘ব্যাপক মাত্রায়’ দুর্নীতির তথ্য পাওয়ায় পর বিশদ অনুসন্ধানের জন্য ২০১১ সালে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে কমিশন, যার প্রধান ছিলেন দুদকের উপ পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী।পরে ২০১২ সালে ওই টিম ভেঙে জয়নুল আবেদিন শিবলীকে হলমার্ক দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান সৈয়দ ইকবাল হোসেন।